
মঙ্গল ও চাঁদে ভবিষ্যৎ মানববসতির স্বপ্ন নিয়ে মহাকাশ অভিযানে যাত্রা করা স্পেসএক্সের ‘স্টারশিপ’ আবারও ব্যর্থ হয়েছে। উৎক্ষেপণের মাত্র ৩০ মিনিট পরই রকেটটির নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ফিরে এসে বিস্ফোরিত হয়।
রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, স্টারশিপ রকেটের অভ্যন্তরে জ্বালানি লিকের কারণে এটি মহাকাশে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ঘুরতে শুরু করে। ফলে পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগেই এটি ফিরে আসে এবং ‘র্যাপিড আনস্কেজুয়েলড ডিসঅ্যাসেম্বলি’-এর মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যায়। স্পেসএক্স জানায়, ব্যর্থ হলেও এ পরীক্ষার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা মিলেছে, যা ভবিষ্যতে স্টারশিপের নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
১২৩ মিটার দীর্ঘ স্টারশিপটি আগের ব্যর্থ উৎক্ষেপণগুলোর তুলনায় অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছালেও এটি ছিল চলতি বছরের দ্বিতীয় ব্যর্থ অভিযান। এর আগেও ৬ মার্চ একবার উৎক্ষেপণের পরপরই রকেটটি বিস্ফোরিত হয়।
এই দুর্ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ফ্লোরিডার চারটি বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। রকেটের ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এফএএ সম্প্রতি স্পেসএক্সের বার্ষিক উৎক্ষেপণ সংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করেছে। তবে সংরক্ষণবাদী সংগঠনগুলো পরিবেশগত ঝুঁকি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে।
ইতিমধ্যে ইলন মাস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, স্টারলিঙ্ক প্রকল্প এবং মহাকাশ কার্যক্রমে এফএএর ভূমিকা নিয়ে স্বার্থের দ্বন্দ্ব সংক্রান্ত প্রশ্ন উঠেছে। এতসব বিতর্ক ও ব্যর্থতার মধ্যেও স্পেসএক্স এবং নাসা স্টারশিপকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানে তাদের প্রত্যাশা ধরে রেখেছে।