
ব্যতিক্রমী ব্যাগের জন্য লুই ভুইতোঁর নামডাক আছে। ফ্যাশন ব্র্যান্ডটি করোনার পর এমন একটি ব্যাগ বাজারে এনেছে, দেখতে যা হুবহু প্লেনের মতো। ২০২১ সালের শরৎ ও শীতকালীন সংগ্রহে প্রথম ব্যাগটি প্রদর্শন করে লুই ভুইতোঁ।
ব্যাগটির ডিজাইনার ছিলেন প্রয়াত ফ্যাশন আইকন ভার্জিল আবলোহ। তখন থেকেই আলোচনায় ছিল ব্যাগটি। অনলাইনে নিলামে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করার পর নতুন করে আবার আলোড়ন তুলেছে। কারণ, ব্যাগটির প্রাথমিক দাম প্রায় ৩৯ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৮ লাখ টাকা!
শোনা যাচ্ছে, নতুন করে ব্যাগটি আরও চড়া দামে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ফ্যাশন বোদ্ধারা।
লুই ভুইতোঁর নিজস্ব মনোগ্রাম নকশা করা ক্যানভাস দিয়ে ব্যাগটি তৈরি করা হয়েছে। এতে রয়েছে প্লেনের মতো মিনিয়েচার ইঞ্জিন, ককপিট ও ডানা। সব মিলিয়ে যেন আকাশপথের ছোট্ট একটি আর্ট পিস। প্রয়োজনে এটি কাঁধে নিয়েও ঘুরতে পারবেন। একই সঙ্গে এটি যেন একটি ফ্যাশন অনুষঙ্গ ও শিল্পকর্ম। ব্যাগটির দাম জানার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।
অনেকেই ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, এই দামে তো এক ইঞ্জিনের একটি পুরোনো সেসনা প্লেনই কিনে ফেলা যায়! কেউ আবার এই ব্যাগ না কিনে সেই অর্থ বিটকয়েনে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন। কিছু ব্যবহারকারী মজা করে বলেছেন, ‘এই ব্যাগ দিয়ে ওড়া যাবে নাকি?’
পরিমিত নকশার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত লুই ভুইতোঁ। তাই এমন অভিনব এবং কিছুটা উদ্ভট ডিজাইন দেখে অবাক হয়েছেন অনেক ভক্ত। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, এই ব্র্যান্ড কি এমন পরীক্ষামূলক নকশার জন্য মানানসই। ফ্যাশন–বিশ্লেষকদের মতে, এটি হয়তো আবলোহর সৃজনশীলতার একটি সাহসী প্রকাশ। তবে সেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
এ ধরনের ব্যতিক্রমী ডিজাইন অনেক সময় মূলত প্রচারণার অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কারণ, এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়। ব্যাগ বিক্রি না হলেও ব্র্যান্ডের জন্য বিনা মূল্যে প্রচারের সুযোগ তৈরি করে। অবশেষে বলতেই হয়, লুই ভুইতোঁর মতো ব্র্যান্ড, যারা মূলত উচ্চবিত্ত ও সংগ্রাহকদের লক্ষ্য করে পণ্য তৈরি করে, এমন ব্যতিক্রম ডিজাইন বাজারে নিয়ে এসে কৌতূহল তৈরি করেছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আপনার কাছে যদি সত্যিই ৪৮ লাখ টাকা থাকে, তাহলে আপনি কী কিনবেন? প্লেন ব্যাগ, নাকি একটি প্লেন?
সূত্র: ইয়াহু ফাইন্যান্স, সানডে মর্নিং হেরাল্ড ও টিডিজি