
শুধু ভালোবাসা নয়, বৈধ বিয়ের সুবাদে মিলতে পারে আরেকটি দেশের নাগরিকত্বও। বিশ্বের অনেক দেশেই এখন এই সুযোগ রয়েছে। ভিনদেশি কাউকে বিয়ে করলে, নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করলেই মিলে যেতে পারে সেই দেশের নাগরিকত্ব। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির কল্যাণে বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা সহজ হয়ে গেছে। ফলে, শিক্ষা, চাকরি কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে প্রেম—এবং পরিণতিতে বিয়ে এখন আর বিরল নয়। চলুন জেনে নিই, এমন কিছু দেশের নাম, যেখানে বৈধ বিয়ের মাধ্যমে সহজেই পাওয়া যায় নাগরিকত্ব।
কেপ ভার্ড:
পশ্চিম আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্ডে কোনো নাগরিককে বিয়ে করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। এখানে বসবাসের কোনো পূর্বশর্ত নেই। প্রক্রিয়াটি সহজ, দ্রুত এবং সময় সাশ্রয়ী।
স্পেন:
স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ের পর মাত্র এক বছর একসঙ্গে থাকলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। এতে স্পেন ছাড়াও লাতিন আমেরিকা, ফিলিপাইন, পর্তুগালসহ আরও কয়েকটি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব।
আর্জেন্টিনা:
আর্জেন্টিনায় বিয়ের পর দুই বছর বসবাস করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। অবশ্যই বৈধ বিয়ে, অপরাধমুক্ত জীবন এবং সাধারণ স্প্যানিশ ভাষা জানা আবশ্যক।
মেক্সিকো:
মেক্সিকোর নাগরিককে বিয়ের পর দুই বছর একসঙ্গে থাকলেই নাগরিকত্বের সুযোগ মেলে। আবেদনকারীর মৌলিক স্প্যানিশ জ্ঞান এবং বৈধ বিয়ের সনদ লাগবে। আগের দেশের পাসপোর্টও রাখতে পারবেন।
তুরস্ক:
তুরস্কে বিয়ের পর তিন বছর বৈধভাবে একসঙ্গে থাকলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। ভাষা বা সংস্কৃতি জানার প্রয়োজন নেই। তুরস্কের পাসপোর্ট দিয়ে ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা ফ্রি বা ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা মেলে।
সুইজারল্যান্ড:
সুইস নাগরিককে বিয়ের পর তিন বছর একসঙ্গে থাকলে এবং পাঁচ বছর দেশটিতে বসবাস করলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। দেশের বাইরে থাকলেও ছয় বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক থাকলে আবেদন সম্ভব। আবেদনকারীর ভালো সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, ভাষাজ্ঞান এবং অপরাধমুক্ত জীবন আবশ্যক।
বিশ্বের নাগরিক হতে চাইলে, ভালোবাসাই হতে পারে সেই পাসপোর্টের চাবিকাঠি। তবে প্রতিটি দেশের নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন জানার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: গ্লোবাল সিটিজেন সলিউশনস ও নোম্যাড ক্যাপিটালিস্ট.