ঢাকা   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঢাকা উত্তরের ১০ হাটের মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে মাত্র ২টি!

ঢাকা উত্তরের ১০ হাটের মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে মাত্র ২টি!

 রাজধানী ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কোরবানির পশুর হাটের অধিকাংশ এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছে। নির্ধারিত ১০টি অস্থায়ী হাটের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি হাটের ইজারা চূড়ান্ত করতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। এতে ইজারাপ্রত্যাশীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৭ জুন দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সে হিসাবে ৩ জুন থেকে শুরু হবে পশুর হাট। কিন্তু হাট বসানোর জন্য সময়মতো ইজারা না হওয়ায় হাট ব্যবস্থাপনায় দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। এখনো গাবতলী স্থায়ী হাটসহ দিয়াবাড়ি, কালশী, বছিলা, রানাভোলা, ভাটারা, খিলক্ষেতসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাটের ইজারা অনিশ্চিত।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত চূড়ান্ত হওয়া দুটি হাট হলো—মস্তুল চেকপোস্ট–সংলগ্ন হাট (ইজারা: ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা) এবং তেজগাঁও পলিটেকনিক মাঠ হাট (ইজারা: ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা)। অথচ অধিকাংশ হাটেই ইজারা নিয়ে দরদাতাদের সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও দর সরকারি মূল্যের চেয়ে কম, আবার কোথাও পে-অর্ডারের কপি নিয়ে অনিয়ম ধরা পড়েছে। উত্তরা দিয়াবাড়ি হাটে দরদাতা প্রতিষ্ঠান পে-অর্ডারের মূলকপি জমা না দেওয়ায় দর বাতিলের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

একাধিক হাটে দ্বিতীয় দফা দরপত্র আহ্বান করা হলেও কাঙ্ক্ষিত দর মেলেনি। বিশেষ করে কালশী বালু মাঠের হাটে ৮০ লাখ টাকার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার দর মেলায় আবারও তৃতীয় দফা দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বছিলা হাটের ক্ষেত্রে ২ কোটি ২০ লাখ টাকার সরকারি দর ছাড়িয়ে ২ কোটি ৭১ লাখ টাকার প্রস্তাব এলেও এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

হাটগুলোর প্রস্তুতির জন্য দরদাতারা অন্তত দুই সপ্তাহ সময় চান। কিন্তু এখনো কে ইজারা পাবেন, সেটাই নিশ্চিত নয়। প্রচারণা, অবকাঠামো তৈরি, নিরাপত্তা ও পশু পরিবহনসহ নানা বিষয়ে এখনও অজানা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, ইজারাপ্রত্যাশীরা বলছেন, সময় ফুরিয়ে আসছে অথচ সিদ্ধান্তহীনতায় প্রস্তুতি শুরু করাও যাচ্ছে না। ফলে ঢাকার উত্তর সিটিতে এ বছর কোরবানির পশুর হাট সুষ্ঠুভাবে আয়োজন নিয়ে জনমনে শঙ্কা বেড়েই চলেছে।