ঢাকা   বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

ঘাড়ব্যথা আর নয়—সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন

স্বাস্থ্য

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১ মে ২০২৫

সর্বশেষ

ঘাড়ব্যথা আর নয়—সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন

আজকের কর্মব্যস্ত জীবনযাত্রায় ঘাড়ব্যথা খুবই সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। অফিসে দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করা, মোবাইল ফোনে মাথা নিচু করে সময় কাটানো কিংবা সঠিকভাবে না ঘুমানোর কারণে ঘাড়ে ব্যথা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা শুরুতে সাধারণ মনে হলেও অবহেলা করলে তা জটিল রূপ নিতে পারে। তাই ঘাড়ব্যথার কারণ, উপসর্গ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের উপায় জানা জরুরি।

ঘাড়ব্যথার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস, ডিস্ক প্রলেপস বা হারনিয়েশন, সারভাইক্যাল ক্যানেল স্টেনোসিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস, হাড়ের ইনফেকশন, ডিস্কাইটিস, ফাইব্রোমায়ালজিয়া এবং দীর্ঘ সময় ভুল ভঙ্গিমায় বসে থাকা। অনেক সময় অতিরিক্ত ভারী জিনিস তুলতে গিয়েও ঘাড়ে ইনজুরি হয়।

ঘাড়ব্যথার উপসর্গগুলো সহজেই বোঝা যায়—ঘাড়ে টান বা ধরা লাগা, কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে অবশভাব বা ব্যথা, ঘাড় নড়াচড়া করতে সমস্যা হওয়া, এমনকি হাঁচি বা কাশির সময়ও ব্যথা বেড়ে যাওয়া। কখনো কখনো ব্যথা মাথার পেছন থেকে সামনে পর্যন্ত ছড়াতে পারে।

সঠিকভাবে ঘাড়ব্যথার কারণ নির্ণয়ে প্রয়োজন রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, এমআরআই বা সিটি স্ক্যান। চিকিৎসা নির্ভর করে ব্যথার প্রকৃতি ও কারণের ওপর। সাধারণত ওষুধ ও ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু হয়। ফিজিওথেরাপিতে ম্যানুপুলেশন থেরাপি, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ, আল্ট্রাসাউন্ড, শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি ও ট্র্যাকশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। তবে ব্যথা বাড়তে থাকলে কিংবা স্নায়ু সমস্যার লক্ষণ দেখা দিলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

ঘাড়ব্যথা প্রতিরোধে আমাদের জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। যেমন:

  • সামনের দিকে ঝুঁকে দীর্ঘক্ষণ কাজ না করা

  • মাথার ওপরে ভারী জিনিস বহন না করা

  • শক্ত বিছানায় ঘুমানো ও সঠিকভাবে বালিশ ব্যবহার করা

  • সেলুনে ঘাড় না মটকানো

  • কম্পিউটার মনিটর চোখের লেভেলে রাখা

  • গরম সেঁক দেওয়া

  • নিয়মিত ঘাড়ের পেশি শক্তিশালী করার ব্যায়াম করা

ঘাড়ব্যথা শুরু হওয়ার আগেই সতর্ক হলে এই যন্ত্রণা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকা যায়। মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা ও যত্নই হতে পারে সুস্থ জীবনের মূল চাবিকাঠি।

সর্বশেষ