
প্রতিদিন ভাবেন ব্যায়াম শুরু করবেন, কিন্তু "কাল থেকে" বলে আর শুরু করা হয় না? এভাবে সময় হারিয়ে গেলে শরীরচর্চা তো হয়ই না, বরং জমে যায় বাড়তি ওজন আর ক্লান্তি। অথচ এমন কিছু কার্যকর ব্যায়াম আছে, যেগুলো অল্প সময়েই প্রচুর ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে এইচআইআইটি (HIIT) বা হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং ব্যায়ামগুলো দ্রুত ওজন কমাতে এবং শরীরকে ফিট রাখতে দুর্দান্তভাবে কাজ করে।
চলুন জেনে নিই এমন ৯টি ব্যায়াম সম্পর্কে—
১. জাম্পিং জ্যাকস
সোজা, কিন্তু দারুণ কার্যকর একটি ব্যায়াম। শরীর গরম করার পাশাপাশি প্রতি মিনিটে প্রায় ৮ থেকে ১১.৮ ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে।
২. হাই নি রানিং
দ্রুতগতিতে হাঁটু উঁচু করে দৌড়ানোর এই ব্যায়াম মিনিটে ৩.৫ থেকে ৭ ক্যালরি পর্যন্ত পোড়ায়। জায়গা লাগবে সামান্যই।
৩. বাট কিকস
পেছনের দিকের পেশি সচল রাখতে সাহায্য করে এই ব্যায়াম, যেখানে গোড়ালি পেছনের অংশে আঘাত করে দৌড়াতে হয়। প্রতি মিনিটে ৮–১২ ক্যালরি ঝরে যায়।
৪. মাউন্টেন ক্লাইম্বার
প্ল্যাঙ্ক ভঙ্গিতে থেকে দ্রুত পা টেনে আনলে পুরো শরীরের পেশি কাজ করে, ফলে মিনিটে ৭ থেকে ১২ ক্যালরি পোড়ে।
৫. দড়িলাফ
ক্লাসিক অথচ শক্তিশালী এই ব্যায়ামে পা, হাত ও কোমরের পেশি সক্রিয় থাকে। প্রতি মিনিটে প্রায় ৭.৬–৯.৮ ক্যালরি পোড়ানো যায়।
৬. স্টেশনারি সাইক্লিং
যাঁরা হাঁটুর ওপর চাপ না দিয়ে ব্যায়াম করতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ। আধা ঘণ্টায় ২১০–৩১১ ক্যালরি পোড়ে।
৭. সাঁতার
হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আধা ঘণ্টায় ১৯৮–২৯৪ ক্যালরি পোড়ায়। জয়েন্ট সমস্যা থাকলে এটি নিরাপদ বিকল্প।
৮. স্প্রিন্ট
দ্রুত দৌড়ানো মানেই হাই ক্যালরি বার্ন। প্রতি মিনিটে ১০.৮ থেকে ১৬ ক্যালরি পোড়ে। দৌড়াতে পারেন রাস্তায় বা ট্রেডমিলে।
৯. হাইকিং
প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটার মাধ্যমে মনের চাপ কমে, পেশিও মজবুত হয়। ব্যায়াম ও মানসিক প্রশান্তি একসঙ্গে চাইলে হাইকিং শুরু করুন।
? ব্যায়াম শুরু করার আগে যা মনে রাখবেন:
-
যদি আগে থেকে কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
-
ধীরে ধীরে সময় ও গতি বাড়ান।
-
ওয়ার্মআপ ও কুলডাউন করতে ভুলবেন না।
মাত্র ২০–৩০ মিনিটের নিয়মিত ব্যায়ামই বদলে দিতে পারে আপনার শরীর ও মনের অবস্থা। তাই কাল নয়, আজই শুরু করুন নিজের যত্ন নেওয়া।