রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শুক্রবার (রোববার) বিনিয়োগকারীদের নতুন জোট পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার পুনর্মূল্যায়ন ও শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান অপসারণসহ মোট আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পালন করেছে। বিএসইসি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং তাঁদের দাবি প্রকাশ করেন।
বিক্ষোভে বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এবং নতুন কমিশন ও চেয়ারম্যান যোগদানের পর থেকেই শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন হচ্ছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির জন্য অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যানকে দায়ী করে দ্রুত অপসারণের দাবি জানানো হয়। বক্তারা সরকারকে সতর্ক করে বলেন, শেয়ারবাজারকে অর্থনৈতিক সংকটে ঠেলে দেওয়া সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে আরও শক্ত আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মানববন্ধনের মধ্যেই ঘোষণা দেওয়া হয় নতুন বিনিয়োগকারী জোটের। এই জোটে ১০টি সংগঠন রয়েছে, যেমন—বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ, শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শেয়ার ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন, আইসিবি ইনভেস্টরস ফোরাম, শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ, ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস ফোরাম, শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত পরিষদ, শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী স্থিতিশীল পরিষদ ও বাংলাদেশ শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী কল্যাণ পরিষদ।
জোটের সিনিয়র সমন্বয়ক এস এম ইকবাল হোসেন আন্দোলনস্থল থেকে আট দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবির মধ্যে রয়েছে—বিএসইসি চেয়ারম্যানের দ্রুত অপসারণ, মার্জিন ঋণ বিধিমালা-২০২৫ ও মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা-২০২৫ বাতিল, একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারমূল্য দ্রুত পুনঃস্থাপন, কমিশনের পদত্যাগ, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ, শেয়ারবাজার লুটপাটের দায়ীদের গ্রেপ্তার এবং বাজার অস্থিতিশীলতা দূর না হওয়া পর্যন্ত লেনদেন স্থগিত রাখা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিনিয়োগকারীরা জানান, বর্তমান শেয়ারবাজার পরিস্থিতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দিশেহারা করে তুলেছে। তাদের হুঁশিয়ারি, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আরও বড় আন্দোলনে যেতে প্রস্তুত তারা।
























