ঢাকা   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

রাজস্ব ক্ষতির হিসাব করতে কমিটি গঠন করলো এনবিআর

রাজস্ব ক্ষতির হিসাব করতে কমিটি গঠন করলো এনবিআর

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ বুধবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) এক আদেশে এই কমিটি গঠন করা হয়। আইআরডির যুগ্ম সচিব সৈয়দ রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক করে গঠিত ৯ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটিতে অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, এনবিআর, আইআরডি, ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।

এই কমিটির কার্যপরিধি হলো গত ২৮ ও ২৯ জুন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অফিস বন্ধ থাকায় রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ, দুই মাসব্যাপী শুল্ক, ভ্যাট ও কর বিভাগের কর্মচারীদের কর্মসূচি পালনের কারণে সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কাস্টম হাউস, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তরসহ অন্য দপ্তর ও কর কার্যালয়ে রাজস্ব ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এবং এই কর্মসূচি পালনের কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম এবং সব স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ক্ষয়ক্ষতিসহ দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা—এই দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর পর থেকে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে যৌক্তিক সংস্কারে দাবিতে প্রায় দুই মাস আন্দোলন করেন।

২৮ ও ২৯ জুন সারা দেশে কাজ বন্ধ করে দেন তাঁরা। এরপর ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তাঁরা। এরপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। আন্দোলন প্রত্যাহারের পর এখন পর্যন্ত তিনজন সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এই পর্যন্ত ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া এনবিআরের ২ জন সদস্যসহ ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তাঁদের অধিকাংশই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।