ঢাকা   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

গোপালগঞ্জের ঘটনা লজ্জাজনক ও প্রশাসনের ব্যর্থতা: ইসলামী আন্দোলন

গোপালগঞ্জের ঘটনা লজ্জাজনক ও প্রশাসনের ব্যর্থতা: ইসলামী আন্দোলন

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আজ বুধবার ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিক সংগঠন এনসিপি জুলাইজুড়ে দেশব্যাপী পদযাত্রা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ তারা গোপালগঞ্জে গিয়েছে। তাদের সঙ্গে আজ গোপালগঞ্জে যা হয়েছে, তা লজ্জাজনক। একই সঙ্গে প্রশাসনের ব্যর্থতাও বটে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ গোপালগঞ্জে এলে সেখানে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে, এটা অনুধাবন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আজকের ঘটনায় পরিষ্কার, প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ দায়িত্বে নিয়োজিতদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন সহিংসতার সুযোগ করে দিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’

বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, সারা দেশ একযোগে স্বৈরাচার হাসিনাকে উৎখাত করেছে। তবে গোপালগঞ্জে হাজার হাজার খুন, গুম ও হাজার কোটি টাকা পাচারকারী শক্তির পক্ষে কেউ প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে দেশপ্রেমিক ছাত্র নেতৃত্বের ওপরে হামলা করবে এবং তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।

রেজাউল করীম বিবৃতিতে বলেন, যারা এনসিপির ওপরে হামলা করেছে, তারা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। মিডিয়ায় এদেরকে আওয়ামী লীগের পান্ডা হিসেবেই প্রচার করতে হবে এবং যারা যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদেরক অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির এই সময়ে স্বৈরাচারের দোসররা যে দুঃসাহস দেখিয়েছে, তা সরকারের সামগ্রিক ব্যর্থতার বড় একটি দৃষ্টান্ত বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের ধীরগতির কারণেই এরা আজ এই সাহস করেছে। তাই কেবল ঢাকায় গুটিকয়ের বিচারের আওতায় আনলে হবে না, বরং সারা দেশে স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনুন। এ ধরনের দুঃসাহস জাতি আর দেখতে চায় না।’