
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন দলটির চট্টগ্রামের নেতা–কর্মীরা। কর্মসূচি থেকে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরের ২ নম্বর গেট মোড়ে জড়ো হয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন নেতা–কর্মীরা। এনসিপির কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একই দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত আছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, যুগ্ম সদস্যসচিব সাগুপ্তা বুশরা, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ, যুগ্ম সদস্যসচিব রিজাউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইবনে হোসাইন জিয়াদ, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ প্রমুখ।
সন্ধ্যা ছয়টায় ২ নম্বর গেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ৫০ থেকে ৬০ নেতা–কর্মী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এ সময় তাঁরা গোপালগঞ্জের হামলায় জড়িত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন। কর্মসূচির কারণে আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে আজ গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে নেতা–কর্মীদের ঘিরে হামলার ঘটনা ঘটে। বেলা পৌনে তিনটার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা–কর্মীদের ঘিরে হামলা চালান। তাঁরা চারদিক থেকে এনসিপির নেতা–কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। যাঁরা হামলা চালান, তাঁরা আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে এনসিপির নেতা–কর্মীরা অভিযোগ করেছেন।
১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করছে দলটি। চট্টগ্রামে ২০ জুলাই এ কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে।