
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষককে দশম গ্রেডে উন্নীত করার অনুরোধ জানিয়ে পাঁচ সচিব বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের পদের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার বলে জানিয়েছেন নোটিশদাতা আইনজীবী।
আইনসচিব, জনপ্রশাসনসচিব, শিক্ষাসচিব, অর্থসচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব বরাবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আজ বুধবার ওই নোটিশ পাঠান। নোটিশে প্রধান শিক্ষকদের বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না হলে বিষয়টি আদালতের নোটিশে আনা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনজীবী সিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া বলেন, গ্রেড উন্নীত করা নিয়ে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের করা রিট নির্দেশনাসহ নিষ্পত্তি করে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত করতে ও দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা খারিজ হয়। এ রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন নিষ্পত্তি করে গত ১৩ মার্চ রায় দেন আপিল বিভাগ। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত করতে ও দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ বহাল থাকে।
আপিল বিভাগের রায়ের পর ৭ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে দশম গ্রেডে উন্নীত এবং দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেয় বলে জানান আইনজীবী সিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া। তিনি বলেন, তবে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার। তাঁরা ওই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অথচ সবাই মামলা না করলেও রায় অনুযায়ী বাকিদের সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যাবে, এমন নজির আছে। যে কারণে সব প্রধান শিক্ষককে দশম গ্রেডে উন্নীত করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।