
কোরবানির ঈদের পরদিন আজ রোববার রাজধানীর বাজারে সবজির দাম কমে এসেছে। তবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি, পাশাপাশি চিংড়ি ও ইলিশ মাছ। ঢাকার মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, বনশ্রীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকান এখনো বন্ধ। খোলা আছে কেবল হাতে গোনা কিছু সবজি ও মাছ-মুরগির দোকান।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, ঈদের আগে শেষ দিন পর্যন্ত ভালো বেচাকেনা হলেও এখন বাজারে ক্রেতা কম, সরবরাহও সীমিত। নতুন করে পণ্য এখনো আসেনি। ফলে পুরোনো সবজিই কম দামে বিক্রি করছেন তাঁরা। সরকারিভাবে ছুটি মঙ্গলবার পর্যন্ত হলেও বাজার স্বাভাবিক হবে সোমবার থেকে।
সরেজমিনে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজারে দেখা গেছে, মাত্র কয়েকটি সবজি, মাছ ও মুদি দোকান খোলা। সেগুলোতেই পুরোনো পণ্যে চলছে সীমিত বিক্রি। শসা, গাজর, টমেটো ও কাঁচা মরিচের দাম ঈদের আগে দ্বিগুণ হলেও আজ তা অর্ধেকের নিচে নেমেছে। হাইব্রিড শসা ৫০-৬০ টাকা, দেশি ৭০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মরিচ এখন ৫০-৬০ টাকা কেজি, যা দুই দিন আগে ছিল ১২০-১৬০ টাকা। গাজর ৬০ টাকায়, টমেটো ৬০-৯০ টাকায় ও লেবু হালি প্রতি ২০-৩০ টাকায় মিলছে।
এদিকে গরু-খাসির মাংসের দোকানগুলো বন্ধ থাকলেও মুরগি ও মাছের দোকানে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে কেজিতে ১৯০-২০০ টাকা, আর সোনালির দাম ৩০০-৩২০ টাকা। চিংড়ি ৮০০-৯০০, ইলিশ ২২০০-২৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম আগের মতোই রয়েছে, প্রতি ডজন ১৩০ টাকা।
আদাবরের বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম বলেন, “ঈদের আগে যে চিংড়ি কিনেছিলাম, তা শেষ। শুধু মাংস দিয়ে চলে না, তাই আবার মাছ কিনতে এলাম। শসা-টমেটোর দাম কম, কিন্তু সবগুলো দুই-তিন দিন আগের—তাজা কিছু পাইনি।”
বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই বছর তুলনায় এবারের ঈদে দাম ছিল অনেকটা সহনীয়। ২০২৩ সালে কাঁচা মরিচের কেজি উঠেছিল ৫০০ টাকা পর্যন্ত, এবার তা সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা হয়েছে। ডিম ও মুরগির দামও স্থিতিশীল। বাজার এখন ধীরে ধীরে চাঙ্গা হওয়ার পথে।