
ঈদের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে নতুন টাকার দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। মতিঝিল ও গুলিস্তানে নতুন টাকা কিনতে এখন ২০ ও ৫০ টাকার প্রতিটি বান্ডেলে ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে। এক হাজার টাকার নোটও বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিসে ৩০-৪০ টাকা বাড়তি দামে।
গত ২ জুন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পরিবর্তে জাতীয় স্থাপনার ছবি সংবলিত নতুন নোট বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে মাত্র ৫০০ কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়া হয়েছে, যেখানে প্রতি ঈদে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়া হয়। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় নতুন টাকার সংকট তৈরি হয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা চাহিদামতো নতুন নোট পাননি বলেই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে বেশি দামে নোট বিক্রি করছেন। এমনকি পুরোনো নকশার নতুন নোটের দামও বেড়েছে; যেমন ৫, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার বান্ডেলেও গুনতে হচ্ছে ৩০০–৫০০ টাকা পর্যন্ত বেশি।
বাজারে এখন দুই ধরনের নোট চলমান—একটি নতুন নকশার, অন্যটি বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ পুরোনো নকশার। দুটোরই দাম বেড়েছে সমানতালে। ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা নিজেরাও ব্যাংক কর্মচারীদের কাছ থেকে বেশি দামে নতুন নোট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
নতুন নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যেও রয়েছে পরিবর্তন। নতুন নোটগুলোতে জলছাপে বেঙ্গল টাইগারের মুখ এবং সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ, আহসান মঞ্জিল, কান্তজিউ মন্দির, জাতীয় সংসদ ভবনের মতো স্থাপনার ছবি রয়েছে।
সব মিলিয়ে এবার ঈদে নতুন নোট পেতে সাধারণ মানুষকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে, যা ঈদকে ঘিরে সাধারণের খরচ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ এবং বাজারে নজরদারির অভাবই এই অস্থিরতার মূল কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।