
বাণিজ্যিক বাংলা সিনেমার পর্দা কাঁপানো অ্যাকশন হিরো ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ৯০-এর দশকে যাঁর সিনেমা মানেই ছিল গরম রক্ত, ঘাম ঝরানো মারপিট আর নায়কসুলভ উত্তেজনা—সেই চেনা প্রসেনজিৎকে একদম নতুন রূপে হাজির করেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। শান্ত, সূক্ষ্ম অভিনয়ের চরিত্রে প্রসেনজিতের অভিনয়গুণ দেখে তখন অনেকেই বলেছিলেন—এ যেন এক নতুন প্রসেনজিৎ, যাঁকে আবিষ্কার করেছেন ঋতুপর্ণই।
আজ, ৩০ মে, ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রয়াণ দিবসে তাঁদের সম্পর্ক, চলচ্চিত্রভিত্তিক রসায়ন এবং শিল্পে নতুন জন্ম পাওয়া প্রসেনজিতের কৃতজ্ঞতা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ অকপটে স্বীকার করেন, “ঋতুপর্ণ আমাকে নতুন জন্ম দিয়েছিলেন।” ইউটিউব চ্যানেল গালাট্টা প্লাসকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি ছিলাম কমার্শিয়াল ছবির নায়ক, কিন্তু ঋতুপর্ণ আমাকে দেখালেন যে আমি অভিনেতাও হতে পারি।”
ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘চোখের বালি’, ‘উৎসব’, ‘দোসর’, ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’ এবং ‘খেলা’—এই সব ছবিতে প্রসেনজিতের অভিনয় দর্শকদের একদম অন্য এক অভিজ্ঞতা দেয়। ঋতুপর্ণর সংবেদনশীল নির্মাণশৈলী আর প্রসেনজিতের অভিনয়ের গভীরতা—দুই মিলে বাংলা চলচ্চিত্রে সৃষ্টি হয়েছিল এক নতুন অধ্যায়।
২০১৩ সালের ৩০ মে প্রয়াত হন ঋতুপর্ণ। কিন্তু তাঁর চলচ্চিত্র ও শিল্পী গড়ার ক্ষমতা আজও টালিউডে জীবন্ত। আর তাঁর সবচেয়ে বড় উদাহরণ সম্ভবত সেই বাণিজ্যিক হিরো, যিনি আজ সত্যিকার অর্থে একজন অভিনেতা—প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।