
জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ হ্রাসের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলন। সংগঠনের আহ্বায়ক মাহমুদ সেলিম ও সদস্যসচিব রুস্তম আলী খোকন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিক্ষা খাতে ব্যয় না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়ে দিয়েছে—যা অত্যন্ত দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।
তারা বলেন, এই সরকার ছাত্রদের গণ-আন্দোলনের ফসল, অথচ সেই সরকারই বিগত সময়ের তুলনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ হ্রাস করেছে। বিপরীতে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। দেশে কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা কম হওয়ায় এই বাজেটের বড় অংশ মাদরাসা শিক্ষায় ব্যয় হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় বিজ্ঞানমনস্ক নাগরিক গঠনে প্রতিবন্ধক।
বিবৃতিতে নেতারা উল্লেখ করেন, ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী জাতীয় আয়ের ৬% এবং মোট বাজেটের ২০% শিক্ষা খাতে বরাদ্দের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনো রাজনৈতিক সরকার তা মেনে চলে না। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সেই প্রত্যাশা থাকলেও এবারও তা পূরণ হয়নি, ফলে শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষকদের মধ্যে গভীর হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
সরকার মোট বাজেটের ১৪% শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দের দাবি করলেও সেটিকে বিভ্রান্তিমূলক বলে দাবি করেন তারা। বাস্তবে জাতীয় আয়ের মাত্র ১.৭৭% বরাদ্দ প্রদান করে সরকার শিক্ষা খাতের প্রতি অবহেলার পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করেন নেতৃবৃন্দ।
তারা অবিলম্বে ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা খাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান জানান, যেন একটি দক্ষ, মানবিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও দেশপ্রেমিক জাতি গঠন সম্ভব হয়।