
উচ্চমানের শিক্ষাদানে বিশ্বজুড়ে পরিচিত ইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে নিয়মিত শীর্ষ স্থানে অবস্থান করে। সুইডেনের বিশেষত্ব হলো—বিভিন্ন শিক্ষানবিশ প্রোগ্রাম ইংরেজি ভাষায় পরিচালিত হয় এবং শিক্ষার পরিবেশটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক। ফলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রি অর্জনের পর চাকরির সুযোগও যথেষ্ট।
বিশ্বখ্যাত বহু বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সদরদপ্তর ও শাখা এখানে থাকায় সুইডেনে পড়াশোনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো—আইইএলটিএস ছাড়াও এখানকার ১০টি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
যে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়াই পড়াশোনার সুযোগ মিলবে:
১. স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়
২. লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়
৩. উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়
৪. চালমারস ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
৫. কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
৬. গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়
৭. লিংকোপিং বিশ্ববিদ্যালয়
৮. উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
৯. ওরেব্রো বিশ্ববিদ্যালয়
১০. ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট
আইইএলটিএস ছাড়াও যেসব বিকল্প রয়েছে:
যদি কোনো শিক্ষার্থী আগের ডিগ্রি ইংরেজি ভাষায় সম্পন্ন করে থাকেন, তবে আইইএলটিএসের প্রয়োজন হয় না। তবে বিকল্প হিসেবে TOEFL, PTE Academic বা Cambridge English (CAE/CPE) গ্রহণযোগ্য। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে ইংরেজিতে শিক্ষার্থীর দক্ষতা যাচাই করা হয় এবং অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তা স্বীকৃতি দেয়।
সুইডেনের জনপ্রিয় স্কলারশিপসমূহ:
-
সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ
-
উপসালা ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ
-
ইরাসমাস মুন্ডাস জয়েন্ট মাস্টার্স ডিগ্রি
-
কেটিএইচ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ
-
ভিসবি প্রোগ্রাম স্কলারশিপ
-
ইউনিভার্সিটি বোরাস টিউশন ফি ওয়েভার
-
চালমারস আইপিওইটি বৃত্তি
-
হালমস্ট্যাড বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি
-
উমিয়া, স্টকহোম, স্কোভডে ও মিড-সুইডেন ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ স্কিম
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
-
একাডেমিক সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট
-
ইংরেজি দক্ষতার সনদ
-
বৈধ পাসপোর্ট
-
স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP)
-
কারিকুলাম ভিটা (CV)
-
রিকমেন্ডেশন লেটার
-
আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ
-
আবেদনপত্র
স্টুডেন্ট ভিসা ও রেসিডেন্স পারমিট:
সুইডেনে তিন মাসের বেশি সময় অধ্যয়নের জন্য 'রেসিডেন্স পারমিট'-এর প্রয়োজন হয়। এই পারমিটের মাধ্যমে সুইডেনে বৈধভাবে দীর্ঘ মেয়াদে বসবাস করা যায়। তবে শেনজেনভুক্ত অন্য দেশে ভ্রমণের জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন হবে। রেসিডেন্স পারমিটের জন্য অনলাইনে আবেদন করাই সবচেয়ে দ্রুত ও সহজ উপায়। আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
সুইডেনে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেতে আগ্রহীদের এখনই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। আইইএলটিএস ছাড়াই সুযোগ পাওয়া এই সুবিধা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি দারুণ সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে।
বিস্তারিত জানতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ঘুরে দেখুন এবং আবেদন শুরু করুন এখনই!