
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামানের ৮১ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’র যৌথ উদ্যোগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এতে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
দেশের মুক্তিসংগ্রাম ও নানা বিপর্যয়ে বরেণ্য এই শিক্ষাবিদের অগ্রণী ভূমিকা চিরস্মরণীয়।
১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, অবিভক্তভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রণ করেন আনিসুজ্জামান। তার বাবা এটিএম মোয়াজ্জেম ছিলেন বিখ্যাত হোমিও চিকিৎসক। ১৯৫৬ ও ১৯৫৭ সালে স্নাতক সম্মান এবং এমএতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। অনার্সে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় কৃতিত্বস্বরূপ `নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদক` বৃত্তি লাভ করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
ভাষা আন্দোলন, রবীন্দ্র উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলন, রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী আন্দোলন এবং ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। এ ছাড়া শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত গণআদালতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।
আনিসুজ্জামানের উল্লেখযোগ্য রচনাবলীর মধ্যে স্মৃতিপটে সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্মারকগ্রন্থ, নারীর কথা, মধুদা, ফতোয়া, ওগুস্তে ওসাঁর বাংলা-ফারসি শব্দসংগ্রহ ও আইন-শব্দকোষ অন্যতম। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, অলক্ত পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৪ সালে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি নাগরিক সম্মান `পদ্মভূষণ` পুরস্কার পেয়েছেন। যা ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব।
এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষক। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেন।
শেয়ার বিজনেস24.কম