ঢাকা   বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

রাঙ্গামাটি ভ্রমণ: পাহাড়, জল আর প্রকৃতির নিঃশব্দ আহ্বান

ভ্রমণ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৮:৫৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

রাঙ্গামাটি ভ্রমণ: পাহাড়, জল আর প্রকৃতির নিঃশব্দ আহ্বান

চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাঙ্গামাটি জেলা যেন একখণ্ড নৈসর্গিক স্বর্গ। পাহাড়ি সবুজ, কৃত্রিম হ্রদ আর ঠাণ্ডা হাওয়ার পরশে মোড়ানো এই জায়গাটি বছরের সব ঋতুতেই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য। সময় হাতে থাকলে মাত্র ৩-৪ দিনের মধ্যেই ঘুরে দেখা যায় এখানকার বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় স্থান।

প্রথমেই চোখে পড়ে কাপ্তাই হ্রদ, যা ৫৪ হাজার একরের বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। বর্ষা হোক বা শীত—প্রতিটি মৌসুমে হ্রদের রূপে ভিন্নতা দেখা যায়, যা পর্যটকদের হৃদয়ে আলাদা আবেশ ছড়ায়। চট্টগ্রাম বা ঢাকা থেকে সরাসরি কাপ্তাইয়ে পৌঁছানো যায় সহজেই।

হ্রদের জল পেরিয়ে নৌপথে পৌঁছাতে হয় শুভলং ঝরনায়, যেখানে বর্ষাকালে দেখা মেলে পানির তীব্র ধারার মোহনীয় শব্দ ও দৃশ্যের। শুভলং কালিট্যাং তুগ পাহাড়ের কাছাকাছি অবস্থিত, যা থেকে দেখা যায় পুরো রাঙ্গামাটি শহর ও মিজোরামের একাংশ।

রাঙ্গামাটির আরেক পরিচিত নাম ফুরোমন পাহাড়—চাকমা ভাষায় যার মানে ‘ফুরফুরে মন’। ১,৫১৮ ফুট উঁচু এই পাহাড়ে উঠে উপভোগ করা যায় নিঃসৃত প্রকৃতির বিশুদ্ধ সৌন্দর্য।

এই শহরের অন্যতম প্রতীক ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্মিত ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি যেন রাঙ্গামাটির প্রতীকী পরিচয় বহন করে। স্থল ও জলপথে সহজেই পৌঁছানো যায় এখানে।

ভ্রমণ তালিকায় যুক্ত করুন ঐতিহ্যবাহী রাজবন বিহার—বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বৌদ্ধবিহার। প্রায় ৩৩ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই বিহারে রয়েছে চারটি মন্দিরসহ ভিক্ষুদের আবাসস্থল, ভাবনা কেন্দ্র ও তাবতিংশ স্বর্গ।

রাঙ্গামাটি শুধু চোখ জুড়ায় না, মনও জুড়ায়। পাহাড়, জল, মন্দির আর সংস্কৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধনে এখানে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে স্মরণীয়।