
সৌভাগ্যবান ক্রেতা আশরাফুল ইসলামকে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করছেন চিত্রনায়ক আমিন খানসহ ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন সাভারের এক সৌভাগ্যবান ক্রেতা। তিনি হলেন আশুলিয়ার ফার্মেসি ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বুলু। ওয়ালটনের চলমান ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২’-এর আওতায় ফ্রিজ কিনে তিনি ১০ লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন।
এর আগে এ সিজনে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ফরিদপুরের কলেজ শিক্ষার্থী রাসেল ফকির, নেত্রকোনার খোকন মিয়া, রাজধানীর শনির আখড়ার আলী মর্তুজা এবং সিলেটের কানাইঘাটের কাওসার আহমেদ। এছাড়া ওয়ালটনের এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন খুলনার মিঠুন দত্ত।
সম্প্রতি সাভারের আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকায় আয়োজিত এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে আশরাফুলের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ।
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ‘দেশজুড়ে তোলপাড়, ওয়ালটন পণ্য কিনে হতে পারেন আবারো মিলিয়নিয়ার’—এই স্লোগানে দেশজুড়ে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২। এর আওতায় ঈদ পর্যন্ত দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ। এছাড়াও রয়েছে লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার।
আশরাফুল জানান, চলতি মাসের ৩ তারিখে সাভারের নিরিবিলি এলাকার ফাল্গুনী হাউজিংয়ে ওয়ালটনের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি শোরুম থেকে ৮২ হাজার টাকা দিয়ে একটি রেফ্রিজারেটর কেনেন। এলাকার মানুষের কাছ থেকে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের প্রশংসা শুনেই তিনি ফ্রিজটি কেনেন। কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে তার মোবাইলে ১০ লাখ টাকা জেতার মেসেজ আসে।
তিনি বলেন, “প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি। একটি ফ্রিজ কিনে কেউ মিলিয়নিয়ার হয়—এটা কীভাবে বিশ্বাস করব? কিন্তু এখন সত্যি আমি ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। ওয়ালটনের প্রতি রইলো দোয়া ও ভালোবাসা। দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠানটি আরও সুনাম অর্জন করুক, এটাই প্রত্যাশা।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শহীদুজ্জামান রানা, ফ্র্যাঞ্চাইজি সেলস নেটওয়ার্কের ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনচার্জ মাহবুবুল হাসান মিলটন, ফ্র্যাঞ্চাইজি শোরুমের স্বত্বাধিকারী খন্দকার আলাউদ্দিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।