ঢাকা   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

জুমার পর সার্ক ফোয়ারায় ‘ব্যান আওয়ামী লীগ’ সমাবেশের ডাক

রাজনীতি

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১৩, ৯ মে ২০২৫

জুমার পর সার্ক ফোয়ারায় ‘ব্যান আওয়ামী লীগ’ সমাবেশের ডাক

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আজ শুক্রবার (৯ মে) জুমার নামাজের পর ঢাকার সার্ক ফোয়ারার সামনে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর গুলশানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে চলমান অবস্থান কর্মসূচি থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন। সেখানে রাতভর অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে এনসিপি এবং বিভিন্ন শিক্ষার্থী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

হাসনাত জানান, “সার্ক ফোয়ারার সামনে একটি মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। জুমার পর সেখানে জনসমুদ্র তৈরি হবে। আজকে প্রমাণ হবে, এদেশের জনগণ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।”

রাত থেকেই ‘ব্যান আওয়ামী লীগ’ দাবিতে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে আজ সকাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরাও যুক্ত হয়েছেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে কয়েকশো নেতাকর্মী অংশ নেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। সেই দাবি আমরা সরকারের বাইরে ও ভেতরে বহুবার জানিয়েছি। কিন্তু আজ নয় মাস পরেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় আবার রাজপথে ফিরেছি।”

বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলেন:

  • “ব্যান করো, ব্যান করো – আওয়ামী লীগ ব্যান করো”

  • “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?”

  • “গোলামি না, আজাদি – আজাদি আজাদি!”

  • “লীগ ধর, জেলে ভর”

  • “ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর – আওয়ামী লীগ নো মোর”

এদিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

তিনি বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১১টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, “নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই প্রসেস শেষ করে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বিষয়টি।”

আওয়ামী লীগকে ‘গণহত্যাকারী’ আখ্যা দিয়ে তিনি আরও লেখেন, “এই দলের ও এর সহযোগীদের রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করাই জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার।”

আজকের বিক্ষোভ এবং বিকালের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আপনি কি চান এই প্রতিবেদনটি সোশ্যাল মিডিয়া বা সংবাদপত্রের জন্য ভিজ্যুয়াল আকারে সাজিয়ে দিই?