
চার কোম্পানি মুরগির মিলগেটে দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। আগামীকাল শুক্রবার (২৩ মার্চ) থেকে কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশের মিলগেটে এ দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় চার কোম্পানিকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো মিলগেটে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে ভোক্তা পর্যায়ে মুরগির দাম কতো হবে সেটা নির্ধারণ হয়নি।
এর আগে কোম্পানিগুলো অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্রয়লার মুরগির অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। পরে সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, কোম্পানিগুলো আজ ২৩০ টাকায় মিলগেটে ব্রয়লার বিক্রি করেছে। কাল থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০-৪০ টাকা কমবে।
তিনি বলেন, `আজ কোম্পানিগুলো আমাদের বলছে ফিডের দাম বাড়ার কারণে এখন উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে আমরা এও বলছি মুরগির দাম কোনোভাবেই ২০০ টাকার বেশি যৌক্তিক নয়। কোনোভাবে ৫০-৬০ টাকা বাড়তি দাম কাম্য নয়। কোন খাতে সরকার বেশি ইন্টারাপ্ট করলে সমস্যা, আমরা আপনাদের সাপোর্ট দেবো। কিন্তু বাড়তি দাম মানবো না। তাই তারা দাম কমানোর বিষয়ে রাজি হয়েছে।`
তিনি বলেন, `এখন মিলগেট থেকে দাম নিধারিত হবে। এরপর হাত বদলের দাম কতো বাড়ছে, সেটা আমরা দেখব। গোয়েন্দা সংস্থা তদারকি করবে। এরপর কোনো সমস্যা হলে, সমাধান না হলে আমদানি উন্মুক্ত করে দেব।`
উল্লেখ্য, দেশে সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে ব্রয়লারের দাম। সোনালি, লেয়ার, দেশি মুরগির দামও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। সাধারণ মানুষের পাত থেকে হারাতে বসছে প্রয়োজনীয় এ আমিষ। ভোক্তা অধিকার বলছে, ব্রয়লারের দাম ২৯০ টাকা কেজি কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।
শেয়ার বিজনেস24.কম