ঢাকা   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

ধর্ষণ মামলায় দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি হাজতে

ধর্ষণ মামলায় দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি হাজতে

বিয়ের প্রলোভন এবং ধর্ষণ মামলায় দৈনিক রুদ্রবার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দৈনিক সমকাল পত্রিকার শরীয়তপুর প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম পাইলটকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

২৯ জুন বুধবার দুপুরে মামলার শুনানী শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্টাইব্যুনালের বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অন্যথায় ফেসবুকে ছেড়ে দেবে বলে ১০ লাখ টাকা দাবীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম পাইলটের বিরুদ্ধে পুরান ঢাকার এক নারী সাংবাদিক এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর শহীদুল ইসলাম পাইলট উচ্চ আদালতের জামিন ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি ২৮ জুন নিন্ম আদালতে পূনরায় জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পুরাতন ঢাকায় বসবাসরত এক বিধবা নারী সাংবাদিক সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলেন শহীদুল ইসলাম পাইলট। ঐ নারী সাংবাদিকের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিভিন্ন কৌশলে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং বিয়ের স্বীকৃতি দেয়ার কথা বলে তাকে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরাতে থাকেন। 

এক পর্যায়ে বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী ঐ নারী সাংবাদিক ফেসবুকে আত্মহত্যা করার ঘোষণা দেন। তাৎক্ষণিক ভাবে বংশাল ও লালবাগ থানা পুলিশ তাকে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় পরদিন অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারী ঐ নারী সাংবাদিক বাদী হয়ে বংশাল থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। তখন বংশাল থানার পুলিশ মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেন। যার নাম্বার হচ্ছে ৬৩। ধারা হচ্ছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী ঐ নারী সাংবাদিক বলেন, শহীদুল ইসলাম পাইলট বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে তার কাছে ফোনে, ম্যাসেঞ্জারে কল দিতো। মাঝে মধ্যে তাকে না জানিয়ে তার বাসায় চলে আসতো। তার প্রথম স্ত্রীর সাথে পারিবারিক নানা সমস্যার কথা বলে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সে বিভিন্ন অজুহাতে তার বাসায় গিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, গোপনে তার ধারণ করা ভিডিও ভাইরাল করা হবে বলে ১০ লাখ টাকা দাবী করেন। তিনি এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেন।

 

বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল খান ও এ্যাডভোকেট শেখ ফরিদ।

শেয়ার বিজনেস24.কম