কাঁচা বাজার
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবরকম পণ্যের খুচরা ও পাইকারী বিক্রয়ের বড় মোকাম ঢাকার বিখ্যাত কাঁচা বাজারগুলো। বিভিন্ন জেলার কৃষক ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সব ধরনের সবজি, মাছ, ফলমূল, চাল, ডাল, শুটকি, মুরগী ও মাংস সংগ্রহ করে খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের নিকট সরবরাহ করে। আর এভাবেই নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্য সামগ্রী ঢাকার আনাচে কানাচে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় স্থানীয় বাজারে পৌঁছে যায়। কারওয়ান বাজার কাঁচা বাজার, যাত্রাবাড়ি কাঁচা বাজার, শাহজাদপুর কাঁচা বাজার, রূপনগর কাঁচা বাজার, নর্দ্দা কাঁচা বাজার ঢাকার বড় কাঁচা বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম।
খোলা-বন্ধের সময়সূচী
ফলের দোকান

- ঢাকার কাঁচা বাজারগুলো সপ্তাহের ৭ দিনই খোলা থাকে।
- প্রতিদিন সকাল ৬.০০ টা থেকে এলাকাভেদে রাত ১২.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
- বিশেষত মাংসের দোকানগুলো সপ্তাহের রবিবার বন্ধ থাকে।
- গুলশান দক্ষিণ ডি.সি.সি মার্কেট কাঁচাবাজার
- গুলশান উত্তর ডি.সি.সি মার্কেট কাঁচাবাজার
- বনানী কাঁচাবাজার
- মহাখালী কাঁচাবাজার
- নর্দা কাঁচাবাজার
- মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচা বাজার
- মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট
- মোহাম্মদপুর পুরাতন কাঁচাবাজার
- ঝিগাতলা নতুন রাস্তা কাঁচা বাজার
- রায়ের বাজার কাঁচাবাজার
- পলাশী কাঁচাবাজার
- নওয়াবগঞ্জ কাঁচাবাজার
- আজিমপুর কাঁচাবাজার
- কাপ্তানবাজার
- ঠাঁটারী বাজার
- নয়াবাজার
- রায়সাহেব বাজার
- শ্যামবাজার
- সূত্রাপুর কাঁচাবাজার
- আজমপুর কাঁচা বাজার, উত্তরা
- সেক্টর ৬ কাঁচাবাজার, উত্তরা
- সেক্টর ৯ কাঁচাবাজার, উত্তরা
- রামপুরা কাঁচাবাজার
- ওয়াপদা রোড কাঁচাবাজার, রামপুরা
- বনশ্রী কাঁচাবাজার
- উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার
- মেরুল বাড্ডা কাঁচাবাজার
- মধ্য বাড্ডা কাঁচাবাজার
- শাহজাদপুর কাঁচাবাজার
- বিহারী পট্টি কাঁচাবাজার, মিরপুর ১১
- আহসান শাহ কাঁচাবাজার, মিরপুর ১১
- মোল্লা মার্কেট কাঁচাবাজার, মিরপুর ১২
- রূপনগর কাঁচাবাজার, পল্লবী
- দুয়ারীপাড়া কাঁচাবাজার, পল্লবী
- শাহ আলী সিটি কর্পোরেশন কাঁচাবাজার
- মিরপুর ২ নং কাঁচাবাজার
- মিরপুর ১ নং কাঁচাবাজার
- শ্যাওড়াপাড়া কাঁচাবাজার
- কাজীপাড়া কাঁচাবাজার
- উত্তর আদাবর কাঁচাবাজার
- খিলগাঁও কাঁচাবাজার
- তিলপাপাড়া কাঁচাবাজার
- গোড়ান কাঁচাবাজার
- দক্ষিণ বাসাবো কাঁচাবাজার
- মালিবাগ কাঁচাবাজার
- শান্তিনগর কাঁচাবাজার
- মগবাজার কাঁচাবাজার
- নিউ মার্কেট কাঁচাবাজার
- বনলতা কাঁচাবাজার
- কারওয়ান বাজার
- কাঁঠালবাগান বাজার
- তেজকুনীপাড়া কাঁচাবাজার
- হাতিরপুল কাঁচাবাজার
- পরীবাগ কাঁচাবাজার
- আনন্দবাজার কাঁচাবাজার
- ডেমরা কাঁচাবাজার
- শনির আখড়া বাজার
- রায়েরবাগ কাঁচাবাজার
- ধনিয়া কাঁচাবাজার
- ধুপখোল কাঁচাবাজার
- দয়াগঞ্জ কাঁচাবাজার
- যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার
- দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার
- ধলপুর কাঁচাবাজার
- মানিকনগর কাঁচাবাজার
- ফকিরাপুল কাঁচাবাজার
- দক্ষিণ কমলাপুর কাঁচাবাজার
- আরামবাগ কাঁচাবাজার
- ধোলাইরপাড় কাঁচাবাজার
- শ্যামপুর কাঁচাবাজার
- পোস্তগোলা কাঁচাবাজার
- মনেশ্বররোড কাঁচাবাজার
- হাজারীবাগ কাঁচাবাজার
- পিলখানা কাঁচাবাজার
- হাজারীবাগ বৌ বাজার
- মাদবর বাজার
- আহসানবাগ কাঁচাবাজার
- রজনীগন্ধ্যা সুপার মার্কেট, কচুক্ষেত
- খিলক্ষেত কাঁচবাজার
- মাছের দোকান
- মাংসের দোকান
- মুরগীর দোকান
- শাকসবজির দোকান
- মুদির দোকান
- চাউলের দোকান
- ডিমের দোকান
- শুঁটকির দোকান
- পান-সুপারির দোকান
- মসলার দোকান
- ফলের দোকান
- ক্রোকারিজের দোকান
- ঘি, তৈলের দোকান
- অন্যান্য পণ্য সামগ্রী
- ঢাকার বাজারের সিংহভাগ জায়গা দখল করে গড়ে ওঠে শাকসবজির বাজার।
- এসব বাজারে সিজনাল ও আন-সিজনাল সকল ধরনের শাকসবজি বাজারে পাওয়া যায়।
- প্রতিদিন সকাল ৭.০০ টা থেকে এলাকাভেদে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত এসব দোকান খোলা থাকে।
- কিছু কিছু সবজি আছে যেগুলো সাইজ এর উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারিত হয়। যেমন – লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাধাঁকপি, চালকুমড়ো। আবার কিছু সবজি আছে যেগুলো কেজি দরে বিক্রি করা হয়। যেমন – আলু, পেয়াজ, টমেটো, শিম, ঢেঁড়শ, মুলা, গাজর, পটল।
- ঢাকার পাইকারী শাকসবজির বাজারগুলো হলো – শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী বাজার।
- ঢাকার বাজারগুলোতে মাছের দোকানগুলো বাজারের যেকোন একটি স্থানে অবস্থিত হয়।
- মাছের দোকানগুলো সকাল থেকে রাত অবধি খোলা থাকে।
- এসব বাজারে ইলিশ, রুই, কাতল, বোয়াল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, মাগুর, কই, শিং, বাইন, পুঁটি, বেলে, কাঁচকি, চিংড়ি, লইট্ট্যা, আইড়, পাবদা, রূপচাঁন্দা, সিলভার কার্প, টেংরা, টাকি, মেনি মাছ,
- এসব বাজারে মাছ সাইজ, ঠিকা, সংখ্যা ও কেজি দরে বিক্রি করা হয়। সাধারণত চিংড়ি, বেলে, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, কাঁচকি মাছ কেজি দরে বিক্রি করা হয়। আর ইলিশ, রুই, কাতলা, মৃগেল, বোয়াল মাছ সাইজ অনুযায়ী, কই, শিং, মাগুর মাছ সংখ্যার ভিত্তিতে এবং টেংরা, বাইন, পুঁটি, পাবদা, টাকি ও মেনি মাছ ঠিকা দরে বিক্রয় করা হয়,
- ক্রেতা চাইলে বাজার থেকেই মাছ কাঁটিয়ে নিতে পারেন। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী মাছের ছোট, বড় বা আঁষ ও নাড়িভুড়ি পরিষ্কার করে সম্পূর্ণ মাছটি নিয়ে যাওয়া যায়। মাছ কাঁটার চার্জ মাছের সাইজ কিংবা পরিমাণের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।
- ঢাকার পাইকারী মাছের বাজারগুলো হলো – কারওয়ান বাজার, সোয়ারীঘাট, যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার।
- পাশাপাশি একাধিক মাংসের দোকানের সমন্বয়ে প্রতিটি বাজারে রয়েছে মাংসের আলাদা বাজার।
- ঢাকার সকল বাজারেই হাড়যুক্ত ও হাড়বিহীন গরু, খাসীর মাংস পাওয়া যায়।
- এসব বাজারে কেজি দরে মাংস বিক্রি করা হয়।
- সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করা হয়।
- ক্রেতা চাইলে মাংস কিমা করে দেওয়া হয়। কিমাকৃত মাংসের দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা বেশি পড়ে।
- মাংসের পাশাপাশি এসব দোকানে কলিজা, ফুসফুস, পায়া, ভুড়ি, জিহ্বা, মাথা পাওয়া যায়।
- বেশি পরিমাণে মাংস ক্রয় করলে প্রয়োজনে হোম ডেলিভারী সার্ভিস প্রদান করে থাকেন।
- আবার ক্রেতা চাইলে ক্রেতার নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করে মাংস প্রস্তুত করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কেজি প্রতি মাংসের দাম পরিশোধ করলেই হয়। বাড়তি কোন চার্জ প্রদান করতে হয় না।
- প্রতিদিন সকাল ৭.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত মাংসের দোকানগুলো খোলা থাকে। আর সপ্তাহের রবিবার মাংসের দোকানগুলো বন্ধ থাকে।
- ঢাকার পাইকারী গরু-খাসীর বাজারটি ঢাকার গাবতলীতে অবস্থিত।
- মুরগীর দোকানগুলো বাজারের নির্দিষ্ট অংশে অবস্থিত হয়।
- প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত মুরগীর দোকানগুলো খোলা থাকে।
- ঢাকার বাজারগুলোতে দেশী ও ফার্ম উভয় জাতের মুরগী পাওয়া যায়। এছাড়া এসব দোকানে কবুতর ও হাঁস পাওয়া যায়।
- দেশী মুরগী কেজি ও সাইজ এর ভিত্তিতে বিক্রি করা হলেও ফার্মের মুরগী শুধুমাত্র কেজি দরে বিক্রি করা হয়। দেশী মুরগীর দাম ফার্মের মুরগীর চেয়ে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেশি হয়।
- বাজারে আস্ত মুরগীর পাশাপাশি জবাইকৃত মুরগীর মাংস, পাখনা, পা, গিলা-কলিজা পাওয়া যায়। এছাড়া ক্রেতা চাইলে নির্ধারিত চার্জ প্রদান করে মুরগী কাটিয়ে নিতে পারেন। মুরগী কাঁটার রেট এলাকাভেদে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- ঢাকার সকল বাজারেই পাইকারী মুরগী বিক্রি করা হলেও ঢাকার পাইকারী মুরগীর বাজারগুলো হলো কাপ্তান বাজার, কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী কাঁচা বাজার, নিউ মার্কেট কাঁচা বাজার।
- প্রতিটি বাজারে আলাদা ডিমের দোকান রয়েছে। এসব ডিমের দোকানে দেশী মুরগী, ফার্মের মুরগী, হাঁসের ডিম, কবুতরের ডিম, কোয়েল পাখির ডিম পাওয়া যায়।
- প্রতিটি দোকানে হালি (৪ পিস) হিসেবে ডিম বিক্রি করা হয়।
- প্রতি হালি মুরগীর ডিমের দাম ফার্মের মুরগীর ডিমের দামের চেয়ে ২-৪ টাকা বেশী হয়।
- এসব দোকানে ভাঙ্গা ডিম ও পাইকারী দরেও ডিম বিক্রি করা হয়। সাধারণত ১০০ পিস ডিম ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাইকারী দাম ধরা হয়। ভাঙ্গা ডিমের দাম ভালো ডিমের চেয়ে হালি প্রতি ৪ টাকা থেকে ২ টাকা কম হয়।
- সপ্তাহের ৭ দিনই সকাল থেকে এলাকাভেদে রাত ১১.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
- ঢাকার বাজারগুলোর কিছুটা অংশ জুড়ে রয়েছে শুঁটকির দোকানগুলো। ঢাকার সকল বাজারেই আলাদা শুঁটকির দোকান রয়েছে। এসব শুঁটকির দোকানে চ্যাপা, লইট্ট্যা, ভেঁটকি, নোনা-ইলিশ, পাবদা, রূপচাঁদা, কাঁচকি, লাক্ষ্যা, বাইন, বোয়াল, আইড় মাছ সহ বিভিন্ন ধরনের মাছের শুঁটকি পাওয়া যায়।
- শুঁটকির দোকানগুলোতে ওজন করে শুঁটকি বিক্রি করা হয়।
- শুঁটকির দোকানগুলো প্রতিদিন সকাল থেকে এলাকাভেদে রাত ১০.০০ টা থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
- ঢাকার সকল বাজারেই আলাদা মুদির দোকান রয়েছে।
- এসব মুদির দোকানে চাল, ডাল, তেল, ময়দা, লবণ, সাবান, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মশলা, শুকনো মরিচ, হলুদ, গুড়ো মরিচ, গুড়ো হলুদ, নুডুলস, গুড়ো দুধ পাওয়া যায়।
- প্রতিদিন সকাল ৭.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত মুদির দোকানগুলো খোলা থাকে। সপ্তাহের শুক্রবার দ্বিতীয় অর্ধ দিবস বন্ধ থাকে।
- প্রতিটি মুদির দোকানে চাল পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিটি বাজারে আলাদা চাউলের দোকান রয়েছে।
- এসব দোকানে চিনিগুড়া, কালিজিরা, কাটারী, পাইজাম, নাজিরশাইল, লতা, মিনিকেট, মোমপালিশ, ঝিঙা, মোহনভোগ, কাজললতা, আটাশ, বিআর ১৪, বিআর ২৮, বাশফুল, রঙের গুড়া, আতব, বিন্নি সকল ধরনের চাউল পাওয়া যায়।
- প্রতিদিন সকাল থেকে এলাকাভেদে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় অর্ধদিবস বন্ধ থাকে।
- এসব দোকানে ১ কেজি থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ বস্তা চাল বিক্রি করা হয়। বস্তা প্রতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে দাম কিছুটা কম রাখা হয়।
- ঢাকার পাইকারী চাউলের মার্কেটগুলো হলো – বাবুবাজার চাউলের মার্কেট, উত্তর যাত্রাবাড়ী চাউলের মার্কেট, নিউ মার্কেট কাঁচা বাজার।
- ঢাকার সকল বাজারেই আলাদা পান – সুপারির দোকান রয়েছে। এসব দোকানে ছোট-বড় সাইজের বিভিন্ন প্রজাতির পান, কাঁচা ও শুকনা, সুপাড়ি, খোলা ও প্যাকেটজাত জর্দা, চুনা, খয়ের, সাদাপাতা পাওয়া যায়।
- পান সাধারণত বিরা হিসেবে বিক্রি করা হয়। প্রতি বিড়ায় ৮০ টি পান থাকে। সাইজভেদে প্রতি বিড়া ছোট সাইজের পানের চেয়ে বড় সাইজের পানের দাম এলাকাভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম শুকনা সুপারির দাম ৪০ – ৫০ টাকা, কাঁচা সুপারি প্রতি কুড়ি (২০ টি) ৪০ – ৫০ টাকা হয়ে থাকে।
- পান-সুপারির দোকানগুলো প্রতিদিন সকাল ৭.০০ টা থেকে এলাকাভেদে রাত ১০.০০ টা থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সপ্তাহের শুক্রবার দিন দ্বিতীয় অর্ধদিবস বন্ধ থাকে।
- ঢাকার বাজারগুলোতে আলাদা মসলা জাতীয় পণ্যের দোকানও রয়েছে। মুদির দোকানেও মসলা পাওয়া যায়।
- তবে আলাদা মসলার দোকানে সকল ধরনের মসলা পাওয়া
যায়। যেমন – জিরা, ধনিয়া, গোলমরিচ, দারচিনি, এলাচি, লবঙ্গ, পেস্তাবাদাম, চ্যাপ্টা বাদাম, পোস্ত দানা, আলু বোখারা, তেজপাতা, কিসমিস, জাফরান, জয়ফল জয়ত্তি, সাদা মরিচ, ছোট এলাচ, কাঠবাদাম, কালিজিরা, সাদা জিরা, শাহী জিরা, বড় এলাচ, তিল, সরিষা, পাঁচফোড়ন।
- এসব মসলাগুলো তোলা, গ্রাম, কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
- সপ্তাহের ৭ দিনই সকাল থেকে এলাকাভেদে রাত ১০.০০ টা থেকে রাত ১১.০০ টা পর্যন্ত এসব দোকানগুলো খোলা থাকে। শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় অর্ধদিবস বন্ধ থাকে।

- এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের বাজারের লিস্টে থাকা ফল সরবরাহের জন্য প্রতিটি বাজার ঘেঁষে রয়েছে আলাদা ফলের বাজার। এসব ফলের দোকানে কলা, আপেল, কমলা, আঙ্গুর, পেঁপে, বেদানা, আনারস, মাল্টা, ডাব, নারিকেল সহ বিভিন্ন সিজনে বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়।
- ফলের দোকানগুলো সপ্তাহের ৭ দিনই সকাল ৮.০০ টা থেকে এলাকাভেদে রাত ১১.০০ টা - ১২.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
- ঢাকার পাইকারী ফলের বাজারটি ঢাকার বাদামতলীতে অবস্থিত।
- নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য বাজারগুলোতে ক্রোকারিজ বা হার্ডওয়্যারের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে হাড়ি, পাতিল, চায়ের কাপ, গ্লাস, রং, গৃহ নির্মাণ সামগ্রী, তাঁরকাঁটা, জালি, সলা/ফুলের ঝাড়ু, প্লাস্টিকের বেলচা, ময়লার ঝুড়ি, মাটির তৈরি ফুলের টব, ব্যাংক, গামলা, পাতিল, পিঠা তৈরির ছাঁচ, পাটি, হোগলা পাওয়া যায়।
- প্রতিদিন সকাল ৮.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ।
- বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও বাসা বাড়িতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের জন্য ঢাকার সকল বাজারেই আলাদা ঘি, তৈলের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে মিষ্টি দই, টক দই, ঘি, বাটার, মাখন, খিরসা পাওয়া যায়।
- এই দোকানগুলো সপ্তাহের ৭ দিনই সকাল ৮.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
- নিত্য নৈমিক্তিক পণ্য দ্রব্যের পাশাপাশি বাজারগুলোতে পিঠা তৈরির জন্য নারকেল, খেঁজুরের গুড়, আখের গুড়, ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, চিড়া, মুড়ি ও খই পাওয়া যায়।
- আচার তৈরির জন্য আম, আমড়া, জলপাই, তেঁতুল, কামরাঙ্গা, চালতা, আমলকি সহ বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরির উপাদান পাওয়া যায়।
- ঢাকার বাজারগুলোতে টুকরি মাথায় নিয়ে এক শ্রেণীর লোকদের আনাগোনা করতে দেখা যায়। এরা কুলি/মিনতি নামে পরিচিত। এরা ক্রেতার ক্রয়কৃত মালামাল গাড়ি কিংবা রিক্সা পর্যন্ত পৌঁছিয়ে থাকেন। আর বাজার থেকে বাসা যদি হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত হয় তাহলে বাসায় পৌঁছে দিয়ে সহায়তা করে থাকেন।
- এরা সর্বনিম্ন যতটুকুই হোক সর্বোচ্চ ৫০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বহন করে থাকেন।
- কুলি/মিনতি চার্জ এলাকাভেদে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোর ফ্লোর পাঁকা হওয়ায় পানি শোষণ করতে পারে না বিধায় ফ্লোর কর্দমাক্ত হয়ে যায়। আর বাজারের বিভিন্ন উচ্ছিষ্ট ময়লা আবর্জনা দ্বারা প্রতিদিন বাজার অপরিচ্ছন্ন হয়।
- এসব ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন কর্মী ও বাজার কমিটির নিজস্ব পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সকাল, দুপুর ও রাত্রে বাজার পরিষ্কার করে থাকেন।
- ঢাকার কিছু কিছু বাজারে এখনও সনাতন পদ্ধতিতে দাঁড়িপাল্লার মাধ্যমে ওজন পরিমাপ করা হয়। তবে ঢাকার বেশ কিছু বাজারে আধুনিক ডিজিটাল স্কেলে ওজন পরিমাপ করা হয়।
- ঢাকার বাজারগুলোতে পণ্য বহনের জন্য কিছু কিছু বাজারে নেটের ব্যাগ দেওয়া হলেও বেশিরভাগ বাজারেই সরকার নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাগ দেওয়া হয়।
- এছাড়া ঢাকার বাজারগুলোতে চট, নাইলনের তৈরী বিভিন্ন সাইজের ব্যাগ পাওয়া যায়।
- ঢাকার প্রতিটি বাজারেই নিজস্ব টয়লেটের পাশাপাশি বেশিকিছু বাজারের পাশেই সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত পাবলিক টয়লেট রয়েছে।
- ঢাকার বাজারগুলোতে গাড়ি পার্কিং এর তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। সকালের দিকে বাজারের আশেপাশের নিজ দায়িত্বে গাড়ি পার্কিং করা গেলেও দিনের অন্য সময় বাজারগুলোতে তেমন গাড়ি পার্কিং করা যায় না।
- ঢাকার সকল বাজারেই ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য নগদ টাকায় পরিশোধ করতে হয়। কোন বাজারেই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধের কোন ব্যবস্থা নেই।
- ঢাকার বাজারগুলোতে মাছ, শাকসবজি, মাংসের দোকানে ক্রয়কৃত পণ্যের বিপরীতে কোন স্লিপ প্রদান করা হয়। তবে মুদির দোকানগুলোতে ক্রয়কৃত পণ্যের জন্য স্লিপ প্রদান করা হয়।
- ঢাকার বাজারগুলোতে কিছুটা ভিক্ষুকদের উৎপাত রয়েছে।