ঢাকা   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাজেটে বড় সুখবর! পুঁজিবাজারে করছাড় ও ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়তে পারে

বাজেটে বড় সুখবর! পুঁজিবাজারে করছাড় ও ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়তে পারে

পুঁজিবাজারে চলছে ইতিহাসের অন্যতম গভীর মন্দাভাব। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ। এমন বাস্তবতায় আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে করছাড় ও প্রণোদনা আসার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। পাশাপাশি, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবও রয়েছে।

বর্তমানে করমুক্ত আয়সীমা রয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাজেটে এটি বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার চিন্তা চলছে। একই সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ে ন্যূনতম কর নির্ধারণেও আসতে পারে পরিবর্তন। এখন গ্রাম, পৌর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ভিন্ন হারে ৩-৫ হাজার টাকা ন্যূনতম কর থাকলেও, সেটিকে統一 করে সর্বত্র ৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (২০ মে) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় বাজেটপূর্ব এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বিশ্লেষণ ও কর কাঠামোর প্রস্তাবনা:
বৈঠকে মূলত কর ব্যবস্থাকে সহজ ও করবান্ধব করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আগামী বাজেট হবে ‘করবান্ধব ও বিনিয়োগবান্ধব’। করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের প্রতি আরও উৎসাহ দেওয়া হবে। কোম্পানির ক্ষেত্রে অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানিগুলোর জন্য করছাড় ও সহজ শর্তে তালিকাভুক্তির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এতে বাজারে আস্থা ফিরতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখযোগ্য আরও প্রস্তাব:

  • বছরে ৩ কোটি টাকার বেশি টার্নওভার হলে বর্তমানে যে ০.৬% হারে কর দিতে হয়, তা বাড়িয়ে ১% করার চিন্তা।

  • স্থানীয়ভাবে তৈরি ফ্রিজ ও এয়ারকন্ডিশনের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে।

  • মোবাইল ফোনের ভ্যাটও বাড়ানো হতে পারে মূল্য সংযোজন হার অনুযায়ী।

উপসংহার:
স্মরণকালের অন্যতম দুর্দশাগ্রস্ত পুঁজিবাজার ও সাধারণ করদাতাদের জন্য আগামী বাজেট আশার আলো হয়ে আসতে পারে। কর কাঠামোয় সম্ভাব্য সংস্কার ও করছাড়ের পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হলে বিনিয়োগ ও রাজস্ব উভয় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে এসব প্রস্তাব বাস্তবে কতটা জায়গা পায়, তা দেখা যাবে আগামী বাজেট উপস্থাপনের দিনেই।