
দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪টি ব্যাংক ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য মোট ১ হাজার ৯৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকার ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ডিভিডেন্ডের এই ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এই নগদ লভ্যাংশ ব্যাংকগুলোর আর্থিক সক্ষমতার প্রতিফলন।
বিস্তারিত ব্যাংকভিত্তিক বণ্টন:
ব্র্যাক ব্যাংক
মোট ২৫% ডিভিডেন্ড, যার মধ্যে ১২.৫০% ক্যাশ। বিনিয়োগকারীরা পাচ্ছেন ২৪৮.৮৭ কোটি টাকা।
ব্যাংক এশিয়া
মোট ২০% ডিভিডেন্ড, এর মধ্যে ১০% ক্যাশ। লভ্যাংশের পরিমাণ ১২৮.২৫ কোটি টাকা।
সিটি ব্যাংক
২৫% ডিভিডেন্ড, ১২.৫০% ক্যাশ। নগদ লভ্যাংশ ১৯০.১৫ কোটি টাকা।
ঢাকা ব্যাংক
১০% ডিভিডেন্ড, যার অর্ধেক ক্যাশ। বিনিয়োগকারীরা পাবেন ৫০.৩৩ কোটি টাকা।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক
২০% ডিভিডেন্ডের অর্ধেক ক্যাশ, অর্থাৎ ৯৬.৬৭ কোটি টাকা লভ্যাংশ বিতরণ।
ইস্টার্ন ব্যাংক
৩৫% ডিভিডেন্ডের অর্ধেক ক্যাশ, যা ২৭৯.২৭ কোটি টাকার সমপরিমাণ।
যমুনা ব্যাংক
২৪% ডিভিডেন্ড, এর মধ্যে ১৭.৫০% ক্যাশ। বিনিয়োগকারীরা পাচ্ছেন ৬১.০৬ কোটি টাকা।
এনসিসি ব্যাংক
১৩% ক্যাশ ডিভিডেন্ডে বিতরণ হবে ১৪৪.৩৬ কোটি টাকা।
মিডল্যান্ড ব্যাংক
৬% ডিভিডেন্ডের অর্ধেক ক্যাশ, যা ১৯.৭৭ কোটি টাকা।
প্রাইম ব্যাংক
২০% ডিভিডেন্ড, যার ১৭.৫০% ক্যাশ। মোট নগদ লভ্যাংশ ২০৩.১০ কোটি টাকা।
পূবালী ব্যাংক
২৫% ডিভিডেন্ডের অর্ধেক ক্যাশ, বিনিয়োগকারীদের হাতে যাচ্ছে ১৬২.৬৮ কোটি টাকা।
ট্রাস্ট ব্যাংক
১৫% ডিভিডেন্ড, যার মধ্যে ৭.৫০% ক্যাশ। বিতরণযোগ্য অর্থ ৭৪.৫৬ কোটি টাকা।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ডে ১১১.৩০ কোটি টাকা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
উত্তরা ব্যাংক
৩৫% ডিভিডেন্ড, যার ১৭.৫০% নগদ। বিনিয়োগকারীরা পাচ্ছেন ১৬৯.৮০ কোটি টাকা।
ব্যাংকিং খাতে মুনাফা বৃদ্ধির ইঙ্গিত এবং সুশাসনের প্রতিফলন হিসেবে এই ডিভিডেন্ড ঘোষণাকে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতের আস্থা ফেরাতে এই পদক্ষেপ ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চলমান মুদ্রানীতিগত কড়াকড়ি, খেলাপি ঋণ এবং রিটার্ন অন অ্যাসেটের চাপে থাকা ব্যাংকগুলোর এ ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বস্তির বার্তা বলেই মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।