ঢাকা   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

আঙুলে চোট, ট্রল আর মানসিক চাপ জয় করে শান্তর দুর্দান্ত সেঞ্চুরি

আঙুলে চোট, ট্রল আর মানসিক চাপ জয় করে শান্তর দুর্দান্ত সেঞ্চুরি

সালাহউদ্দীনের প্রশংসা: ‘এই ক্যারেক্টার সবার মধ্যে থাকে না’

আঙুলে চোট, ট্রলের চাপ আর মানসিক দোলাচল—সব পেছনে ফেলে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে নেতৃত্বের পরিচয় দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কায় সিরিজ শুরুর আগেই অনুশীলনে চোট পান বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। আঙুল ফুলে যাওয়ার পরও ব্যান্ডেজ বেঁধে নেমেছিলেন খেলতে, আর সেই ইনিংসেই করলেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক।

প্রথম দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ধৈর্য, দৃঢ়তা আর টেম্পারমেন্টের দারুণ এক নমুনা দেখান শান্ত। দ্বিতীয় দিন ১৪৮ রানে আউট হওয়ার আগে ২৭৯ বল মোকাবিলা করেন তিনি। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তাঁর ২৬৪ রানের জুটিই গড়ে দেয় বড় সংগ্রহের ভিত।

দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন সংবাদ সম্মেলনে জানান, শান্ত ব্যথা নিয়েই খেলেছেন, ‘তার আঙুলটা অনেক ফোলা ছিল। সে আঙুলে ব্যথা নিয়েই ব্যাট করেছে। শান্ত আলাদা ক্যারেক্টারের, টাফ ছেলে।’

সালাহউদ্দীন আরও বলেন, ‘এত ট্রলের পরেও মাথা ঠিক রাখা অনেক কঠিন। কিন্তু শান্ত সেটা পেরেছে। ওর মানসিক দৃঢ়তা ও নেতৃত্বগুণ বাকিদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’

শান্তর চেয়েও বড় ইনিংস খেলেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ৩৫০ বল খেলে ১৬৩ রানের ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও আউট হন তিনি। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান করে। এই সংগ্রহে বড় অবদান রেখেছেন মুশফিক।

তাঁর প্রশংসা করে সালাহউদ্দীন বলেন, ‘সে এমন একজন যে পুরো দলকে উজ্জীবিত করে। গেল কিছু ম্যাচে রান না পেলেও তার ওয়ার্ক এথিকস অসাধারণ। আমরা চাই এমন সিনিয়ররাই ড্রেসিংরুমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলুক।’

মুশফিক-নাজমুলের পাশাপাশি ভালো খেলেছেন লিটন দাসও। দুর্ভাগ্যক্রমে ৯০ রানে থেমেছে তার ইনিংস, তাও আবার রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট হয়ে। এটি টেস্টে তৃতীয়বার নব্বইয়ের ঘরে থামলেন তিনি।

লিটনের আউট প্রসঙ্গে সালাহউদ্দীনের মূল্যায়ন, ‘পুরো ইনিংসটা সে দারুণ নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। ওই একটামাত্র শটই বাজে ছিল। এটা হতে পারে, কিন্তু সে নিশ্চয়ই শিখবে এবং সামনে আরও বড় ইনিংস খেলবে।’