২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করেছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছিল মাত্র ৪.৮ কোটি রুপি পুরস্কার। তবে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এই টি-টোয়েন্টি লিগের জনপ্রিয়তা, আকর্ষণ এবং সেই সঙ্গে প্রাইজমানির অঙ্কও।
আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিতব্য এবারের (২০২4) ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি লড়াইয়ের বিজয়ী দল পাবে ২০ কোটি রুপি পুরস্কার। রানার্সআপ দল পাবে ১৩ কোটি রুপি। ভারতের সংবাদমাধ্যম বলছে, এবারের আইপিএলের মোট পুরস্কার অর্থ প্রায় ৪৭ কোটি রুপি, যা বিতরণ হবে শীর্ষ চার দল ও বিভিন্ন ব্যক্তিগত পুরস্কারের খাতে।
প্লে-অফে বাদ পড়া কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর দলদুটিও পাবে পুরস্কার অর্থ। পাশাপাশি মৌসুমসেরা ব্যাটসম্যান, সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, সেরা উঠতি তারকা, মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার, সেরা স্ট্রাইকার, ফ্যান্টাসি খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানো খেলোয়াড়ও থাকছেন পুরস্কারের তালিকায়।
একনজরে আইপিএলের প্রাইজমানি বিবর্তন:
-
২০০৮–২০০৯: চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ৪.৮ কোটি, রানার্সআপ ২.৪ কোটি রুপি।
-
২০১০–২০১৩: প্রাইজমানি বেড়ে চ্যাম্পিয়ন পেয়েছে ১০ কোটি, রানার্সআপ ৫ কোটি রুপি।
-
২০১৪–২০১৫: আরও বাড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন পেয়েছে ১৫ কোটি, রানার্সআপ ১০ কোটি।
-
২০১৬: চ্যাম্পিয়নের প্রাইজমানি বেড়ে ১৬ কোটি হলেও রানার্সআপের অঙ্ক অপরিবর্তিত।
-
২০১৭: আবারও কমে চ্যাম্পিয়ন দলের পুরস্কার ১৫ কোটি রুপি।
-
২০১৮–২০১৯: সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত—চ্যাম্পিয়ন ২০ কোটি, রানার্সআপ ১২.৫ কোটি রুপি।
-
২০২০: করোনা মহামারিতে বাজেট কমায় চ্যাম্পিয়ন পায় ১০ কোটি, রানার্সআপ ৬.২৫ কোটি।
-
২০২১: আবারও বেড়ে চ্যাম্পিয়ন পায় ২০ কোটি, রানার্সআপ ১২.২ কোটি রুপি।
-
২০২২–২০২৪: চলমান তিন মৌসুমে একই পুরস্কার: চ্যাম্পিয়ন ২০ কোটি, রানার্সআপ ১৩ কোটি রুপি।
আইপিএলের প্রাইজমানির এই ধারাবাহিক বৃদ্ধিই প্রমাণ করে, টুর্নামেন্টটি কেবল ক্রিকেট নয়—এটি এক বিশাল বিনোদন, বাণিজ্য ও প্রতিযোগিতার সাম্রাজ্য।
