ঢাকা   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

উদ্বোধনের পরই বন্ধ বিদেশিদের জন্য উত্তর কোরিয়ার রিসোর্ট

উদ্বোধনের পরই বন্ধ বিদেশিদের জন্য উত্তর কোরিয়ার রিসোর্ট

সম্প্রতি চালু হওয়া উত্তর কোরিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী রিসোর্টে বিদেশি পর্যটক গ্রহণ করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটি পর্যটন কর্তৃপক্ষ। বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে শুক্রবার এ তথ্য জানা গেছে। 

প্রতিবেনটিতে বলা হয়, ১ জুলাই উদ্বোধন হওয়া ওনসান কালমা কোস্টাল টুরিস্ট জোনকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পর্যটন বাড়ানোর পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল। 

উদ্বোধনের আগে রিসোর্টটিকে স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকের জন্য আকর্ষণ হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল।

তবে এ সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার পর্যটন ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, অস্থায়ী সময়ের জন্য বিদেশীরা সেখানে ভ্রমণ করতে পারবে না।
গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো রাশিয়ান পর্যটক ওনসানের রিসোর্টে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। অবশ্য সে সময় ওই শহরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ কিমের সঙ্গে দেখা করেন।

এএফপির বরাতে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে, লাভরভ সমুদ্রতীরবর্তী রিসোর্টটিকে ভালো পর্যটন আকর্ষক হিসেবে অভিহিত করেন।তিনি আশা প্রকাশ করেন, এটি রুশদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাবে। 
এ মাসের শেষ নাগাদ মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার কথা রয়েছে।

ওনসান শহরটি উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে অবস্থিত, যেখানে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র সুবিধা ও বড় সামুদ্রিক কমপ্লেক্স রয়েছে। এখানেই কিম তার যুবক অবস্থায় বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন।

সমুদ্রতীরবর্তী ৪ কিলোমিটার সৈকতরেখার পাশের নতুন রিসোর্টটিতে হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল ও একটি ওয়াটার পার্ক রয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এটি প্রায় ২০ হাজার মানুষ ধারণে সক্ষম। 

তবে ২০১৮ সালে রিসোর্টটির নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকে, মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এর শ্রমিকদের অনৈতিক ভাবে ব্যবহারের প্রতিবাদ করেছে। তারা জানিয়েছে, শ্রমিকদের কঠোর পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে ও যথোপযুক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি।

কদীর্ঘমেয়াদি মহামারীর কারণে পর্যটন বন্ধ থাকার পর গত বছর রুশ পর্যটকদের উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়।

গত ২৪ জুন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতরা কিম ও তার পরিবারের সঙ্গে রিসোর্টের নির্মাণ কাজের সমাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের মতো পশ্চিমা দেশগুলোর পর্যটকদের গ্রহণ শুরু করেছিল উত্তর কোরিয়া। তবে কারণ না জানিয়েই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হঠাৎ করে পর্যটন বন্ধ করে দেয় দেশটি।