ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) নাগরিক সেবা ব্যাহত করার জন্য সরাসরি সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তাঁর দাবি, সরকার পরিকল্পিতভাবে সেবায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এবং এর দায়ভার করপোরেশনের ওপর চাপিয়ে দিতেই সচেষ্ট।
আজ বুধবার নগর ভবনে এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও সচিব করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের জন্মনিবন্ধন ও নাগরিকত্ব সনদে স্বাক্ষর না করার নির্দেশ দিয়েছেন—এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার সেবা কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে এবং সেই দোষ ডিএসসিসির ওপর চাপাতে চাইছে।
তিনি আরও জানান, চলমান আন্দোলনের মধ্যেও তারা জরুরি সেবা সচল রেখেছেন। তবে অভিযোগ করেন, সরকারের মনোনীত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব না পালনের নির্দেশ দিয়ে পরিস্থিতি জটিল করে তুলছেন।
এ সময় আসিফ মাহমুদের বক্তব্যের জবাবে ইশরাক বলেন, যদি তিনি আইন ভাঙতেন বা ফৌজদারি অপরাধ করতেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা না করে সরকার চুপ করে আছে কেন—এটি প্রশ্নসাপেক্ষ। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা এসব হুমকি ভয় পাই না। খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে ১৭ বছর ধরে লড়ছি।’
এ ছাড়া ইশরাক হোসেন আজ মশকনিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নগর ভবন প্রাঙ্গণে। এর আগে তিনি ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক ও ওয়ার্ড সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। উদ্বোধনের সময় তিনি জানান, সামনে ডেঙ্গুর মৌসুম আসছে, তাই মশকনিধন কর্মসূচি আরও জোরদার করা হচ্ছে।
এই কর্মসূচির সময় নগর ভবনে অবস্থান নিয়ে ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ডিএসসিসির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা ও ‘ঢাকাবাসীর’ ব্যানারে আসা তাঁর অনুসারীরা।
উল্লেখ্য, ১৫ জুন ইশরাক নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে প্রথম সভা করেন, যেখানে তাঁর নামের পাশে ‘মাননীয় মেয়র’ লেখা ছিল। এর মাধ্যমে তিনি নাগরিক সেবা চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং আন্দোলনের পাশাপাশি দায়িত্ব পালনের ঘোষণা দেন।
