ঢাকা   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপারদের মেলবন্ধনে ঢাকায় জমে উঠেছে ড্রয়েডকন বাংলাদেশ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৩৭, ২১ জুন ২০২৫

অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপারদের মেলবন্ধনে ঢাকায় জমে উঠেছে ড্রয়েডকন বাংলাদেশ

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের বৈশ্বিক বাজার ক্রমেই বাড়ছে — ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১৩৭.৮ বিলিয়ন অ্যাপ ও গেমস ডাউনলোড হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাজারের আকার ৬২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বাংলাদেশের অ্যাপ ডেভেলপাররা এ খাতে এখনো অনেকটা পিছিয়ে, আর তাই তাঁদের দক্ষতা বাড়াতে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে (আইইউবি) শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ড্রয়েডকন বাংলাদেশ

দুই দিনের এ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ৫০০ জনের বেশি অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার অংশ নিয়েছেন। ২০টিরও বেশি কারিগরি সেশনে ২৫ জন আন্তর্জাতিক বক্তা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ক্যারিয়ার সম্ভাবনা এবং প্রযুক্তির নতুন নতুন দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছেন।

অস্ট্রিয়ার নেটিভ ওয়েবসের জ্যেষ্ঠ অ্যান্ড্রয়েড প্রকৌশলী মহি-উস-সুন্নাত প্রথম আলোকে বলেন, “নবীন ডেভেলপারদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্যই এই উদ্যোগ। বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশে অ্যাপ ডেভেলপারের সংখ্যা কম এবং তাঁদের দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে। এই সম্মেলন তরুণ, পেশাজীবী এবং উদ্যোক্তাদের নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।”

আগামীকাল শনিবার আলোচনায় থাকছে অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা, মোবাইল টেস্টিংয়ে এআই এর ব্যবহার, কটলিন মাল্টি-প্ল্যাটফর্ম এবং ইঞ্জিনিয়ারিং নেতৃত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী জেলেফের ভাইস প্রেসিডেন্ট আনাম আহমেদ বলেন, “প্রযুক্তি দুনিয়ায় পরিবর্তন এত দ্রুত হচ্ছে যে ভবিষ্যতে এআই মানুষের কর্মপরিধি সম্পূর্ণ পাল্টে দেবে। নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ খুবই জরুরি।”

সম্মেলনে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে ডায়নামিক সলিউশন ইনোভেটরস লিমিটেড এবং গোল্ড স্পনসর হিসেবে রয়েছে ব্রেইন স্টেশন ২৩ ও চেক। কমিউনিটি পার্টনার হিসেবে রয়েছে বিডিঅ্যাপস, জেটব্রেইনস ও অ্যাজাইল বাংলাদেশ, আর ভেন্যু সহযোগী হিসেবে রয়েছে আইইউবি আইইইই বাংলাদেশ শাখা এবং আইইউবির সিএসই বিভাগ। অনুষ্ঠানটির সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে টেকবাইট সলিউশনস।

ড্রয়েডকন বাংলাদেশের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের অ্যাপ ডেভেলপাররা পাবেন আন্তর্জাতিক মানের জ্ঞান, যা দেশের প্রযুক্তি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে — এমনটিই আশা করছেন আয়োজকেরা।