আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে—এমন দাবি জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। তিনি বলেন, "অন্য শীর্ষ রাজনৈতিক দলের মতো আমরাও মনে করি, এ সময়টিই নির্বাচন আয়োজনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। তবে শুধুমাত্র মৌলিক নয়, প্রয়োজনীয় সবধরনের কাঠামোগত সংস্কার করেই এই নির্বাচন হতে হবে।"
আজ বুধবার দুপুর আড়াইটায় পটুয়াখালীর গলাচিপায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় গলাচিপা অফিসার্স ক্লাবে।
নুরুল হক বলেন, “২০১৮ সালে কোটা আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ না থাকলে জুলাই ২৪-এর গণ অধিকার পরিষদের জন্ম হতো না। সুতরাং ছাত্রদের নিয়েই আগামী দিনের রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা তৈরি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আর কোনো তরুণের রক্ত রাজপথে ঝরতে দিতে চাই না। গণ অধিকার পরিষদ কোনো লেজুড়ধারী সংগঠন নয়, বরং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে এই দল গঠিত হয়েছে।”
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে নুরুল হক বলেন, “কোনো একটি দলের হয়ে কাজ না করে নিরপেক্ষ থেকে জনগণের সেবা করুন। তা না হলে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা আপনাদের পদত্যাগের দাবিতে অফিস ঘেরাও করতে দ্বিধা করবে না।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গলাচিপা উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি আরিফ বিল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন মুন্সি, জেলা যুব অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
নুরুল হকের এই বক্তব্য রাজনীতির মাঠে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। তার মতে, ‘জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতেই’ চলমান সংকট নিরসনে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে—তা না হলে দেশের জনগণই আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে।
