
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আগামী সপ্তাহ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ঘোষিত বক্তব্যে জানান, ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সময়ের আগেই রোডম্যাপ প্রকাশ এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে।
ইসি সূত্র জানায়, ঈদের ছুটির কারণে কমিশন এখনো প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার আলোকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করতে পারেনি। তবে আগামী রোববার থেকে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নতুন দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ নানা দিক বিবেচনায় প্রস্তুতি এখন আরও গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে কমিশন।
চলতি বছরের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ৬০ লাখ নতুন ভোটার ও ২০ লাখ মৃত ভোটারের তথ্য ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছে ইসি। আগামী বছরের ২ মার্চের চূড়ান্ত তালিকায় এসব তথ্য যুক্ত হবে, ফলে এপ্রিলের নির্বাচনে নতুন ভোটাররা অংশ নিতে পারবেন। এছাড়া নির্বাচনসংক্রান্ত আইন, আচরণবিধি ও নীতিমালার সংস্কার প্রক্রিয়াও চলছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। পাশাপাশি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কার জুলাই-আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ইসি আগেই ডিসেম্বরে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, এখন তাদের হাতে সময় বাড়ায় নির্বাচনী প্রস্তুতি আরও সুসংগঠিতভাবে নেওয়ার সুযোগ মিলেছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সময়মতো প্রস্তুতির গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়নই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।