
পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে এলেও চট্টগ্রামের মসলা বাজারে এখনো নেই প্রত্যাশিত ক্রেতার ভিড়। মাংস রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ হিসেবে পরিচিত পেঁয়াজ, রসুন ও আদার সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও বাজার জমে ওঠেনি। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় তিনটি পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় অনেকটাই কমে এসেছে, যা স্বস্তি এনে দিয়েছে ক্রেতাদের।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো ঈদ ঘিরে বেচাকেনা জমেনি। চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান খালেদ জানান, “দাম নির্ভর করে চাহিদার ওপর। সরবরাহ বেশি, বেচাকেনা কম—তাই দামও কম। তবে ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত আছেন।”
দেশি পেঁয়াজে বাজারের দখল
এ বছর আমদানি নির্ভরতা কমে বাজারে দেশি পেঁয়াজের আধিপত্য দেখা যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দেশি পেঁয়াজ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ৪৫ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এ সময় এই দামে ৬০ টাকার ওপরে ছিল। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এক মাস ধরেই বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। চাহিদা কম থাকায় দামও স্থিতিশীল।
হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, “বাজারে চাহিদা না থাকায় দাম কম। চাহিদা বাড়লে দু-এক টাকা বাড়তে পারে।”
আদা ও রসুনেও কমতির ছোঁয়া
পেঁয়াজের মতো আদা ও রসুনের বাজারেও দেখা গেছে দাম কমার প্রবণতা। গত বছরের তুলনায় রসুনে ৩০ টাকা এবং আদায় ৭০ টাকা পর্যন্ত কম দেখা যাচ্ছে। এখন আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৫ থেকে ১১৫ টাকা এবং রসুন ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। খাতুনগঞ্জের আড়তে দেশি রসুন পাওয়া যাচ্ছে ১০০ টাকায় আর চায়নিজ রসুন ১৩০ টাকায়। ভারত ও চীন থেকে আমদানি করা আদা যথাক্রমে ৮৫-৯০ ও ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর দেশি আদা মিলছে ৯০ টাকার আশপাশে।
বাজার জমেনি, অপেক্ষায় বিক্রেতারা
নগরের বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি দামের চেয়ে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন। বহদ্দারহাট বাজারের মুদিদোকানি ফরিদুল হক বলেন, “মাসের শুরু, অনেকে এখনো বাজারে আসেননি। তবে ঈদের আগের দুই-তিন দিনে ভিড় বাড়বে বলে আশা করছি।”
চাহিদা বাড়লে দামও কিছুটা বাড়তে পারে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের। তবে আপাতত ঈদের বাজারে মসলা কেনাকাটায় ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তিতে আছেন বলেই মত খাতুনগঞ্জের আড়তদারদের।