
ঈদের ছুটিতে একঘেয়েমি কাটাতে ঘুরে আসতে পারেন চট্টগ্রামের নান্দনিক সব প্রাকৃতিক ও বিনোদন কেন্দ্র। পাহাড়, হ্রদ, সৈকত আর শহরের রঙিন সব অ্যামিউজমেন্ট পার্কে কাটাতে পারেন আনন্দঘন মুহূর্ত।
নগরের পতেঙ্গা সৈকত যেন ঢেউ আর মেজাজ বদলের চমৎকার এক ঠিকানা। সমুদ্রের গর্জন, ঝালমুড়ি-কাঁকড়া ভাজি আর নরম রোদের বিকেল মিলিয়ে এখানেই জমে ওঠে ঈদের আমেজ। মেরিন ড্রাইভ ধরে যেতে যেতে সাগরের জলরেখাও দেখার মতো দৃশ্য।
শহরের আরেক প্রান্তে ভাটিয়ারীর সানসেট পয়েন্ট থেকে পাহাড়-হ্রদের পটে সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কে আছে ট্রি টপ অ্যাকটিভিটি, টিম গেম ও কায়াকিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার, আর ঈদ উপলক্ষে খোলা থাকছে বাম্পার কার, রোলার কোস্টারসহ নানা রাইড। পাশেই সি ওয়ার্ল্ড ওয়াটার পার্কে আছে ওয়েভ পুল, মাল্টিস্লাইড, ড্যান্সিং জোনের মজা।
শিশুদের ঈদের আনন্দ বাড়াতে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। এখানে ৭০ প্রজাতির ৫২০টি পশুপাখি রয়েছে। টিকিট মূল্য মাত্র ৭০ টাকা।
নগর সংলগ্ন পারকি সৈকতেও বেড়ানো এখন সহজ হয়েছে কর্ণফুলী টানেলের কারণে। সমুদ্রপাড়ে ঝাউবনের ছায়া, কাঁকড়া ভাজি আর সূর্যাস্তের দৃশ্য মিলিয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা পাবেন এখানে।
আর হাতে সময় থাকলে চলে যেতে পারেন শহরের বাইরের বাঁশবাড়িয়া সৈকত, মহামায়া লেক, সহস্রধারা, সুপ্তধারা, নাপিত্তাছড়া ট্রেইল কিংবা সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে। পাহাড়ে আর প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যেতে চাইলে ঈদের ছুটিই হতে পারে সেরা সুযোগ।
পর্বতারোহী বাবর আলী বলেন, “ভ্রমণ মন সতেজ করে, আর নতুন প্রাণশক্তি এনে দেয় জীবনে।” তাই এবার ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন প্রকৃতির কাছাকাছি।