
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নতুন কোনো চমক থাকছে না বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। শনিবার ঢাকার এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজিত প্রাক্–বাজেট ছায়া সংসদে তিনি বলেন, বাজেটে খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা কিংবা করের আওতা বাড়ানোর মতো কোনো নতুন উদ্যোগ নেই। তার মতে, বর্তমানে সরকারের প্রকল্পগুলো অতিমূল্যায়িত, যার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া।
তিনি বলেন, অতীতের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার থেকে বাজেটে অর্থ সংযোজন করা গেলে তা হতে পারত একটি ব্যতিক্রমী উৎস। তবে তিনি স্বীকার করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু সাফল্য রয়েছে, যেমন বৈদেশিক খাতে স্থিতিশীলতা, টাকার মান ধরে রাখা এবং বিদেশি ঋণের চাপ কমানো—যেখানে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তার অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে ‘মাফিয়া অর্থনীতি’র শাসন ছিল এবং বাজেট ব্যবহৃত হয়েছে লুটপাটের হাতিয়ার হিসেবে। সেই লুটপাটের দায় আজ জাতিকে বহন করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এনবিআরে যে অস্থিরতা চলছে, তাতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষিতে বরাদ্দ না বাড়ালে নতুন বাজেটও পুরনো গল্পের পুনরাবৃত্তি হবে।