
কাতারের রাজপরিবারের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য রাজকুমারী আল মায়াসা বিন্ত হামাদ আল থানির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অনুসরণকারীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়ালেও, তিনি নিজে মাত্র কয়েকজনকেই অনুসরণ করেন। আর এই ছোট্ট তালিকায় রয়েছেন এক বলিউড অভিনেত্রী, যাঁর নাম শুনলে চমকে উঠতেই পারেন অনেকেই—তিনি ঐশ্বরিয়া রাই কিংবা কারিনা কাপুর নন, বরং ‘মার্ডার’ সিনেমার মাধ্যমে আলোচনায় আসা মল্লিকা শেরাওয়াত।
২০০৫ সালে ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা আল মায়াসা শুধু রুচিশীলতাতেই নন, সৌন্দর্যেও কোনো অভিনেত্রীর চেয়ে কম নন। পরের বছর তিনি বিয়ে করেন জসিম বিন আব্দুল আজিজ আল থানিকে। বর্তমানে তিনি চার পুত্র এবং এক কন্যার জননী।
জানা যায়, বহু বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে এক আয়োজনে কাতারি রাজপরিবারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মল্লিকার। সেখান থেকেই গড়ে ওঠে আল মায়াসা ও মল্লিকার মধ্যে বন্ধুত্ব। সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যে, ২০০৬ সালে রাজকুমারীর বিয়েতে আমন্ত্রিত একমাত্র বলিউড তারকা ছিলেন মল্লিকা শেরাওয়াত। এমনকি ২০১০ সালে ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে কাতারের দোহা ফিল্ম ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও অংশ নেন তিনি।
রাজকুমারীর ইনস্টাগ্রাম ফলো লিস্টে বিশ্বনেতা, সেলিব্রিটি, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এক সারিতে অবস্থান করে মল্লিকার এই উপস্থিতি নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রমী ও চমকপ্রদ ঘটনা। বলিউডে কিছুটা আড়ালে চলে যাওয়া এই অভিনেত্রীর এমন আন্তর্জাতিক সংযোগ যে অনেকেরই অজানা ছিল—সেই পর্দা এবার সরলেই বলছে, গ্ল্যামার আর বন্ধুত্বের এই গল্প যেন রূপকথার চেয়েও বেশি রঙিন।