
রাজবাড়ীর কালুখালীতে ঋণ দেওয়ার আশ্বাসে ২ শতাধিক গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে রবিবার রাতে পালিয়েছে কম্পেইশন ফান্ড (সিএফ) নামে একটি ভুয়া এনজিও। জানা গেছে, এক মাস আগে কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের জহুর আলী বিশ্বাসের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে কম্পেইশন ফান্ড ( সিএফ) নামে এর কার্যক্রম শুরু। গ্রামের সহজ সরল গ্রাহকদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার আশ্বাসে সঞ্চয় হিসেবে টাকা আদায় করতে থাকে। সবাইকে সোমবার (৭ জুলাই) ঋণ নিতে আসার জন্য বলে।
সোমবার সকালে ৪০-৫০ জন গ্রাহক ঋণের টাকা নিতে অফিসে আসলে তালা দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। বিষয়টি সন্দেহ হলে সব জায়গায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গ্রাহকরা ভিড় জমায় জহুর আলী বিশ্বাসের বাড়িতে। বাড়ির মালিক কোন সহযোগিতা না করায় গ্রাহকরা কালুখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
মতিন মন্ডল নামে একজন অভিযোগকারী বলেন, ‘বাড়ির মালিক জহুর আলী বিশ্বাসের ছেলে শিপন বিশ্বাসের স্ত্রী বন্যা খাতুন আমার কাছ থেকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে ১৭ হাজার টাকা নিয়েছে। আজ ওই বাড়ীতে গেলে দেখতে পাই প্রতারক চক্র এলাকার লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে। আমি কালুখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
এ ছাড়া মৌসুমী সরকারের ১০ হাজার ৬২০ টাকা, সাবানা খাতুনের ২৩ হাজার ১২০ টাকা, শিউলী সরকারের ৩০ হাজার ১২০ টাকা, রানু সরকারের ২০ হাজার ৬২০ টাকা, খোরশিদা আক্তারের ১১ হাজার ২শত, রোকেয়া বেগমের ২১ হাজার ৪২০ টাকা, বেগমের ৩৫ হাজার, হিরার ২১ হাজার ১শত, লীমা খাতুনের ২১ হাজার ৪২০ টাকা, মীনারা খাতুনের ২১ হাজার ৪২০ টাকা, আইরীন সুলতানার ২১ হাজার ৪২০ টাকা, সাবানা, রোকেয়া, লীমা পারভীন, নাদিয়া, সুইটি, আশিক মন্ডল, মাহফুজ, মনোয়ারা বেগম,বিশাল মন্ডল, মতিন মন্ডল, সুজাত মন্ডল, হাবিবা, আমেনা, কমেলা, রীনা, আছিয়া, সেলিনা, আছমা, লিয়াকতসহ প্রায় ২ শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে।
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহেদুর রহমান বলেন, ১৪টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গেছেন। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া আফরোজ বলেন, ‘আমি কোন অভিযোগ পাইনি। কেউ আমার কাছে অভিযোগ করলে এনজিওটির রেজিষ্ট্রেশন আছে কিনা, যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’