facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৭ জুলাই শনিবার, ২০২৪

Walton

স্কুটি হাঁকিয়ে কৃষিসেবায় শারমিন


১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার, ১০:৫১  এএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


স্কুটি হাঁকিয়ে কৃষিসেবায় শারমিন

কৃষিকন্যা খ্যাত শর্মিলা আক্তার শারমিন। স্কুটি হাঁকিয়ে ছুটে চলেন নিভৃত অঞ্চলে। ঘোরেন কৃষকের মাঠে মাঠে। পরামর্শ দেন অধিক ফসল উৎপাদনে। এভাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষিসেবায় নিয়োজিত এই নারী। ফলে কৃষিকন্যা হিসেবে সবাই তাকে চিনেন এবং ডাকেন। তিনি গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। স্কুটি থাকায় যাতায়াত ও ব্লকের কৃষি সেবার কাজটা অনেক সহজ হয়ে গেছে তার।

জানা যায়, পলাশবাড়ী পৌরসভা ৮নং ব্লকে ৪টি ওয়ার্ডে কৃষকের সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি। একসময় কৃষকদের সেবা দিতে পায়ে হেঁটে কিংবা ভ্যান-রিকশায় যাতায়াত করতে খুবই কষ্ট হতো শারমিনের। অনেক সময় রাস্তায় বের হলে রিকশাভ্যান পেতে দেরি হতো। এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যেতে কষ্ট তো আছেই। একারণে ইচ্ছা থাকা স্বর্তেও কৃষকদের অধিক সেবা দিতে পারছিলেন না। কিভাবে সেবা বাড়ানো যায় এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে একটি স্কুটি কিনেছেন তিনি। এখন দোঁড়গোড়ায় গিয়ে তাদের কাঙ্খিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন শারমিন।

এই স্কুটি চালাতে গিয়ে কোন সমস্যা হয় কিনা এ প্রশ্নে শর্মিলা আক্তার শারমির বলেন, প্রথম দিকে একটু ভয় ছিল। সংশয় ছিল পাছে লোকে কিছু বলে এই নিয়ে। স্কুটি চালাতে গিয়ে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। অনেকে বাজে মন্তব্য ছুড়ে দেয়। এখনো পথ চলতে কটুকথা শুনতে হয। এসব আমলে না নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরো জানান, স্কুটি নিতে পরিবার অনেক সাপোর্ট ও প্রেরণা যুগিয়েছেন। এখন স্কুটি চালাতে সাচ্ছ্যন্দবোধ করি। সময় বাঁচাতে স্কুটি চালাই। সময়ের আগেই কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারি। ব্লকের কোন কৃষক ফোন দিলেই তাৎক্ষনিক সেবা দিতে পারি। অফিস, ব্লক পরিদর্শন, সন্ধ্যায় ব্লকের কিছু মৌজায় আলোক ফাঁদ শেষে কোয়ার্টারে ফিরি। সব মিলিয়ে স্কুটি চলার পথ ও বিভাগীয় সেবা প্রদান অনেক সহজ করে দিয়েছে।

ওই ব্লকের কৃষক নুরুন্নবী মিয়া বলেন, কৃষিকন্যা শারমিন আপাকে ফোন করলেই উনি দ্রুত চলে আসেন ও পরামর্শ দেন। তার পরামর্শে আমার ফসল ভালো হচ্ছে।

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. ফাতেমা কাওছার মিশু বলেন, শর্মিলা আক্তার অত্যন্ত কর্মপ্রিয় নারী। তার কাজের মূল্যায়নে গাইবান্ধা জেলায় প্রথম ও রংপুর অঞ্চলে দ্বিতীয় হয়ে সম্মাননা প্রাপ্ত হয়েছেন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: