ঢাকা   সোমবার ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

জেসিআই অ্যাওয়ার্ড পেলেন আয়েশা চৌধুরী

জেসিআই অ্যাওয়ার্ড পেলেন আয়েশা চৌধুরী

নারী নেতৃত্ব, কর্মক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য, কার্যকর উদ্ভাবনী চিন্তা এবং সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় জেসিআই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে কয়েকজন কীর্তিমান নারীকে সম্মান জানানো হয়েছে। গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় গুলশানের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে জমকালোভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছে। 

নারীদের নীরব অবদানকে স্বীকৃতি প্রদানে জেসিআই বাংলাদেশ আয়োজিত ‘উইমেন অফ ইন্সপিরেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’-এ ‘আনসাং উইমেন’ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন আয়েশা চৌধুরী। সমাজসেবী ও নারী উদ্যোক্তা আয়েশা চৌধুরী ‘হজ উইথ আয়েশা’র প্রতিষ্ঠাতা এবং দেশের প্রথম নারী মোনাজ্জেম (সৌদি সরকার স্বীকৃত হজ ব্যবস্থাপক)।
আলোকিত ওই আয়োজনে আরও অনেক সংগ্রামী ও অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী নারী সম্মানিত হন। যারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখে চলেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন- কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা (লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট), জনপ্রিয় অভিনেত্রী তমা মির্জা, খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনার সারা করিম, সৌন্দর্য জগতের পথপ্রদর্শক ফারজানা শাকিল ও জনপ্রিয় ব্লগার ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার নদী খন্দকার। 

উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী হিসেবে আয়েশা চৌধুরী গত দুই দশকে ‘হজ ইউথ আয়েশা’র মাধ্যমে ২ হাজারের বেশি হাজিকে পবিত্র হজপালনে সহায়তা করেছেন।

স্বপ্নফেরী সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে বহু নারীর জীবনমান উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। সেই সঙ্গে অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থীর পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন। এই স্বীকৃতি তার অব্যাহত সমাজসেবা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতিচ্ছবি।

পুরস্কার গ্রহণের সময় আয়েশা চৌধুরী জেসিআই বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি সবসময় বিশ্বাস করি, মানুষকে সহযোগিতা করা শুধুমাত্র দায়িত্ব নয়, বরং এটা একটি ইবাদত। হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সেবা করা আমার জীবনের পবিত্র কাজগুলোর একটি।’

এই পুরস্কার কাজের ক্ষেত্রে আরও অনুপ্রেরণা জোগাবে উল্লেখ করে আয়েশা চৌধুরী বলেন, আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, নারীদের এগিয়ে নিতে; উৎসাহ দিতে। সেই সঙ্গে আরও বেশি মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে। এ সময় তিনি তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কৃত করার জন্য জেসিআই বাংলাদেশকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। 

তিনি বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে এই পুরস্কারের আয়োজন নারীদের নীরব সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও নেতৃত্বকে উৎসাহিত করার এক অনন্য প্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হবে।’

প্রসঙ্গত, জেসিআই পুরস্কার হলো- জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন সম্মাননা ও স্বীকৃতি। এটি সাধারণত তরুণ নেতৃত্ব, সামাজিক প্রভাব এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য প্রদান করা হয়। আর উইমেন অফ ইন্সপিরেশন অ্যাওয়ার্ড নারীদের তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়। 

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের একটি সংগঠন। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসে অবস্থিত। জেসিআইর ১২০টির বেশি দেশে কার্যক্রম রয়েছে এবং বিশ্বে সদস্য সংখ্যা ২ লাখের বেশি।

বাংলাদেশে জেসিআইর ৪১টি লোকাল চ্যাপ্টার কাজ করছে। তরুণদের দক্ষতা, জ্ঞান ও বুদ্ধির বিকাশের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে এ সংগঠন। বাংলাদেশে জেসিআইয়ের পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য সক্রিয় আছেন।