
ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন (এনআরসি) চরম মুসলিম বিদ্বেষী,সাম্প্রদায়িক, ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী, বিভক্তি-বিভাজন, ঘৃণা আর হিংসা ছড়িয়ে বহুত্ববাদী ভারতের অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক-অরসা সম্প্রদায়িক মূল্যবোধকে পুড়িয়ে ছারখার করেছে মোদি-অমিত শাহ জুটি। তাদের নেতৃত্বে ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনার অংশ-এটা এখন সচেতন সবার জানা।
এই আইনের আশু লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের ২০২১ সালে নির্বাচন এবং মমতা ব্যানার্জিকে হটিয়ে বিজেপির সরকার গঠন করা। আর প্রতিবেশী হিসাবে সবচেয়ে বিপদে পড়বে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে তারা পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ও তার জনগণ নিশ্চয়ই বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভাজন আর উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না। সে কারণে ভারতের নতুন এই নাগরিকত্ব আইন আর মোটেও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়।
অথচ এই ব্যাপারে বাংলাদেশ তরুণদের মধ্য কোন উদ্বেগ নেই। বিজেপি যে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকেও যে তা নানা দিক থেকে পোড়াবে এখনি এ ব্যাপারে সতর্ক না হলে দেশ হিসাবে আমরা বড় বিপদের মধ্যে নিপতিত হব। পাশের বাড়িতে আগুন লাগলে নিজের ঘর কীভাবে নিরাপদ থাকে!