রাজধানীর খুচরা বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় ভোজ্যতেল পাম অয়েল ও ডিমের দাম বেড়েছে।
ঢাকার খুচরা বাজারে এই ভোজ্যতেল প্রতি লিটারে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দুদিন ধরে পাম অয়েল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং সুপার পাম অয়েল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত পাম অয়েল সর্বোচ্চ ৬০ টাকা আর সুপার পাম অয়েল সর্বোচ্চ ৬৭ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম খুচরা পর্যায়েও বেড়েছে। তবে পাইকারি পর্যায়ের দাম বাড়ার বিষয়টি অস্বীকার করে পাইকারি ব্যবসায়ীদের পাল্টা দাবি, সরবরাহের ঘাটতি বুঝে খুচরা বিক্রেতারাই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তেজগাঁওয়ের খুচরা বিক্রেতা আতাউর শিকদার বলেন, “পাইকারি বাজারে প্রতি লিটার পাম অয়েল এখন ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। আর সুপার পাম অয়েল কিনতে হচ্ছে তার চেয়ে আরও এক টাকা বেশি অর্থাৎ ৬৮ টাকা লিটার দরে। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।” পাইকারি ভোজ্যতেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েলের সরবরাহ সংকট চলছে। আমাদের ধারণা ছিল রমজানের মধ্যেই হয়ত বাজারে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেবে। কিন্তু ঘাটতিটা এখন দেখা দিয়েছে। “ঘাটতি হলেও পাইকারি বাজারে দাম বাড়েনি। খুচরা পর্যায়ে ঘাটতির বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ায় তারা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে।” তবে সরবরাহের এই ঘাটতি আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে থাকবে না বলে জানান মোহাম্মদ আলী ভুট্টো। শুক্রবার ঢাকার পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে পাম অয়েলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ৫৬ টাকা ৫০ পয়সা, সুপার পাম অয়েল ৫৯ টাকা। আর খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ৬৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানান ভুট্টো। এদিকে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি হালি ফার্মের মুরগীর ডিম বর্তমানে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে। এখানেও চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ঘাটতির কারণে দাম বাড়ার ‘ধ্রুপদী’ দাবি করছের ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে ডিমের সরবরাহ কম। যেকারণে দাম একটু বেশি।” শুক্রবার তেজগাঁও স্টেশন রোড পাইকারি ডিম বাজারে ১০০ পিস ফার্মের মুরগীর ডিম ৭৮০ থেকে ৮৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।