ঢাকা   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

দুর্যোগ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সক্ষমতার ওপর গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর

রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

আপডেট: ১৮:২৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০

সর্বশেষ

দুর্যোগ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সক্ষমতার ওপর গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। দুর্যোগের এ চক্র থেকে এই অঞ্চলের মানুষকে বের করে আনতে ব্যাপক সক্ষমতা অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশে বৈশ্বিক অভিযোজন কেন্দ্রের (গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন-জিসিএ) আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, খরা, ভূমিধস, তুষাধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয় ঝুঁকিতে আছে দক্ষিণ এশিয়া। এমনকি তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে বাড়তে থাকলেও বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। দুর্যোগে শিশু, নারী, বয়স্ক এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ঝুঁকির বিষয়টিও আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। গত এক দশকে দক্ষিণ এশিয়ার অর্ধেক জনগোষ্ঠী, অর্থাৎ প্রায় ৭০ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন, গ্রিন হাউস গ্যাসের কারণে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা ও অন্যান্য পরিবেশগত ক্ষতি রোধে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার ২০০৯ সালে গৃহিত বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে নানা পদক্ষেপ এবং অভিযোজন কর্মসূচি নিয়েছে। ২০০৯ সালে আমরা জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল প্রতিষ্ঠা করেছি এবং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ পর্যন্ত ৪৩ কোটি ডলার নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দিয়েছি। অভিযোজন বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর জিডিপির এক শতাংশ, অর্থাৎ ২০০ কোটি ডলার করে ব্যয় করছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ শীর্ষক শতবছরের পরিকল্পনা গ্রহণের কথাও জানান তিনি।

জিসিএর বাংলাদেশ কার্যালয় দক্ষিণ এশিয়ার অভিযোজন এবং জলবায়ুসহিষ্ণুতা অর্জনে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন-জিসিএর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।“আমি মনে করে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোরও অভিযোজন বিষয়ে একই ধরনের অভিজ্ঞতা এবং কর্মসূচি রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা একসঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা এবং উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি।

জলবায়ু পরিবর্তন যেহেতু বৈশ্বিক একটি সমস্যা, তাই এর ঝুঁকি কমাতে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন দেশের প্রতিশ্রুত জাতীয় সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

কোভিড-১৯ মহামারী সব দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং একসঙ্গে কাজ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের সঙ্কট মোকাবেলায় আমাদের একে অপরকে ছেড়ে যাওয়া উচিত নয়।

মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশে বাংলাদেশে কার্যালয় চালুতে সহায়তা করায় তিনি জিসিএর সভাপতি বান কি মুনকে ধন্যবাদ জানান।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিসিএর বাংলাদেশ কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ