ঢাকা   শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২

মার্কিন বাজারে চাপ, তবু আশার আলো

পোশাক রপ্তানিতে স্বল্পমেয়াদি ধাক্কা, প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ

শেয়ারবাজার

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

সর্বশেষ

পোশাক রপ্তানিতে স্বল্পমেয়াদি ধাক্কা, প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি গত নভেম্বর মাসে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। শুল্ক চাপ ও ভোক্তা চাহিদা কমে যাওয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় এই রপ্তানি বাজারে সাময়িক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে। তথ্যানুযায়ী, নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ প্রায় ৬৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে।

তবে এক মাসের মন্দা সামগ্রিক চিত্রকে নেতিবাচক করেনি। চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৩২২ কোটি ডলারে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ স্বল্পমেয়াদি চাপ থাকলেও প্রবৃদ্ধির ধারা এখনো বজায় রয়েছে।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, মার্কিন বাজারে চাহিদা কমে যাওয়া এবং পাল্টা শুল্ক আরোপের ফলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার ধরন দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মো. শেহাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আমাদের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক বাজার সংকোচনের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার মার্কিন ভোক্তাদের ব্যয়ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে।”

একই সঙ্গে প্রতিযোগিতা তীব্র হয়েছে অন্যান্য উৎপাদনকারী দেশের সঙ্গে। রপ্তানিকারকদের ভাষ্য অনুযায়ী, অনেক মার্কিন ক্রেতা এখন ভিয়েতনাম, মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর দিকে ঝুঁকছেন। কম সময়ের ডেলিভারি ও সুবিধাজনক শুল্ক কাঠামো এসব দেশের প্রধান সুবিধা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল জানান, বিশেষ করে বেসিক বা সাধারণ পোশাকের ক্ষেত্রে চাপ সবচেয়ে বেশি। এই খাতে দামের প্রতিযোগিতা তীব্র হওয়ায় বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের মুনাফা সংকুচিত হচ্ছে।

তবে প্রতিকূলতার মধ্যেও শিল্পখাত আশাবাদী। রপ্তানিকারকদের ধারণা, ২০২৬ সালের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যেই মার্কিন বাজারে পরিস্থিতি আবার স্থিতিশীল হতে পারে। এ জন্য বাজার বহুমুখীকরণ, উচ্চ মূল্যের ফ্যাশনেবল পোশাক উৎপাদন এবং দ্রুত ডেলিভারি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।


 

সর্বশেষ