চলতি মাসের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিক এই পতনের প্রভাবে সূচকের পাশাপাশি টাকার অঙ্কে লেনদেন কমেছে এবং বাজার মূলধনও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) গত ১৫ দিনের বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই সময়ে বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৯৮০ কোটি ৫৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে মোট ১২টি কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪ দিন সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও বাকি ৮ দিন সূচক কমেছে। মাসের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক দফায় ৬৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৯১৫ পয়েন্টে। পরবর্তী ১৫ দিনে সূচক আরও প্রায় ২৫ পয়েন্ট হারিয়ে নেয়।
তথ্য অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর ডিএসইএক্স সূচক ছিল প্রায় ৪ হাজার ৯১৫ পয়েন্ট, যা ১৫ ডিসেম্বর এসে নেমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৯০ পয়েন্টে। অর্থাৎ পুরো প্রথমার্ধজুড়েই সূচকে ছিল চাপ ও অস্থিরতা।
লেনদেনের চিত্রও একই ধরনের দুর্বলতা দেখিয়েছে। এই ১৫ দিনে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৫২৩ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মাসের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪১৫ কোটি ৯০ লাখ ১৪ হাজার টাকা, যা ১৫ ডিসেম্বর কমে দাঁড়িয়েছে ৪১৩ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার টাকায়।
বাজার মূলধনের ক্ষেত্রেও পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। মাসের প্রথম দিনে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৫৬ কোটি ২২ লাখ ৮ হাজার টাকা। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮০ হাজার ৫৭৫ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকায়। ফলে মাত্র ১৫ দিনেই বাজার মূলধন কমেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদিও ১২ কর্মদিবসের মধ্যে ৮ দিন সূচক কমেছে, তবে পরিস্থিতি এখনো অস্বাভাবিক নয়। তাদের মতে, সঠিক বাজার মনিটরিং, নীতিগত স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে বাজার খুব বেশি সময় না নিয়েই এই চাপ কাটিয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরতে পারে।
























