আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দিনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী গতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আশার সঞ্চার করলেও শেষভাগে এসে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যায়নি। দুপুর পোনে ১টা পর্যন্ত বাজার ইতিবাচক অবস্থানে থাকলেও পরবর্তী সময়ে একটানা দরপতনে প্রত্যাশা ভেঙে পড়ে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত।
বাজার পরিস্থিতি ঘিরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা দেখা গেলেও বাজার সংশ্লিষ্টরা ধৈর্য ধরে বিনিয়োগে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে, শেয়ারবাজারে স্বল্পমেয়াদে এমন উত্থান-পতন স্বাভাবিক। গুজব বা তাৎক্ষণিক আবেগে না গিয়ে তথ্য যাচাই করে সচেতন সিদ্ধান্ত নিলে দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক ফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪২ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৯০ দশমিক ০৪ পয়েন্টে। একই দিন শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে অবস্থান করে ১ হাজার ১৬ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। পাশাপাশি ব্লু-চিপ সূচক ডিএসই-৩০ ১৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৭৭ দশমিক ১৮ পয়েন্টে।
লেনদেন চিত্রে দেখা যায়, ডিএসইতে আজ মোট ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৮টির, কমেছে ২৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির শেয়ারের দর। এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ৪১৩ কোটি ১১ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসের ৪৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা থেকে প্রায় ৪৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা কম।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যেখানে আগের দিন লেনদেন হয়েছিল প্রায় ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৬১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির শেয়ার ও ইউনিটের দর।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৪ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৭২ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। আগের কর্মদিবসে এ সূচক ২৭ দশমিক ২১ পয়েন্ট কমেছিল, যা বাজারে বিক্রির চাপ আরও বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
























