
শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ৭টি ব্রোকারেজ হাউজ ও ২টি মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রম তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে তিন সদস্যের নয়টি তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদেরকে আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্তের আওতায় থাকা ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো—সিটি ব্রোকারেজ, শান্তা সিকিউরিটিজ, জয়তুন সিকিউরিটিজ, ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ, কেএইচবি সিকিউরিটিজ, কর্ডিয়াল সিকিউরিটিজ ও ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ। মার্চেন্ট ব্যাংক দুটি হলো—আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট।
বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের অধীনে গঠিত কমিটিগুলো স্টক-ব্রোকার ও স্টক-ডিলারদের কার্যক্রম, আইন অনুযায়ী তাদের লেনদেন, মার্জিন অ্যাকাউন্ট, নেগেটিভ ইক্যুইটি, বিও হিসাব ও অনুমোদনহীন লেনদেনসহ বিভিন্ন দিক যাচাই করবে।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর তদন্তেও প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্লক ট্রেড, বড় গ্রাহকের সঙ্গে লেনদেন, ব্যাংক হিসাব ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা বিশ্লেষণ করা হবে। এ ছাড়া, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা অনুযায়ী AML/CFT ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিএসইসির এ ধরনের উদ্যোগ বাজারে শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও বিনিয়োগকারী আস্থা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।