
শত্রুর অনিষ্টতা ও অত্যাচার থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করাই মুমিনের প্রধান আশ্রয়। রাসুল (সা.)ও কোনো শত্রুর হুমকি বা নিপীড়নের আশঙ্কায় বিশেষ একটি দোয়া পড়তেন:
اللَّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُورِهِمْ وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম, ওয়ানা’উজুবিকা মিন শুরুরিহিম।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমরা আপনাকে তাদের গলায় রাখছি এবং তাদের অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাইছি।
(হাদিস: আবু দাউদ, ১৫৩৭)
এ ছাড়া, যুদ্ধে বের হওয়ার আগে রাসুল (সা.) একটি বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতেন:
اللَّهُمَّ أَنْتَ عَضُدِي، وَأَنْتَ نَصِيرِي، بِكَ أَحُولُ وَبِكَ أَصُولُ وَبِكَ أُقَاتِلُ
উচ্চারণ: আল্লহুম্মা আনতা আদুদি, ওয়াআনতা নাসিরি, বিকা আহুলু, ওয়াবিকা আসুলু, ওয়াবিকা উকাতিলু।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমার শক্তি এবং সাহায্যকারী। আপনার সাহায্যেই আমি বিচরণ করি, আপনার সাহায্যেই আমি আক্রমণ করি এবং আপনার সাহায্যেই যুদ্ধ করি।
(হাদিস: আবু দাউদ, ২৬৩২)
এ দোয়াগুলো অনিষ্টকারী শত্রুর বিপদ থেকে বাঁচার পাশাপাশি আত্মিক সাহস জোগায় এবং আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রাখার দীক্ষা দেয়। যেকোনো বিপদে এই দোয়া পাঠ করে মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করা প্রতিটি মুমিনের উচিত।