
করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা অন্তত দুই মাস পেছানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটকের সামনে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান করে তারা পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানান। একই ইস্যুতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটকেও আন্দোলনে নামে একদল শিক্ষার্থী।
‘সুরক্ষা না পরীক্ষা, পরীক্ষা পরীক্ষা’—এমন স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীরা বোর্ডের প্রধান ফটক আটকে রাখলে ভোগান্তিতে পড়েন বোর্ডে আসা শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। অনেকেই কাজ শেষ না করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী জানান, এ বছর চট্টগ্রামে প্রায় এক লাখ তিন হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষার্থী থাকলেও মাত্র ২২-২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছে। বিষয়টি আন্তঃবোর্ড চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে, তবে এককভাবে কোনো বোর্ডই পরীক্ষা পেছাতে পারবে না। তিনি বলেন, “শত শত অভিভাবক ফোন করে বলেছেন, যেন পরীক্ষা পেছানো না হয়। এখন পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই।”
অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, “নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত নই। পরিবারের অনেক সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। অন্তত দুই মাস পরীক্ষা স্থগিত রেখে নতুন সূচি ঘোষণা করা হোক।”
এ ছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছেন—পরীক্ষা দুই থেকে তিন মাস পেছানো, বিগত কয়েক মাসে লোডশেডিং, ডেঙ্গু, বন্যা ও আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সময় দেওয়া এবং পরীক্ষা পদ্ধতিতে নমনীয়তা এনে এমসিকিউ ও সিকিউ অংশে যৌক্তিকভাবে পাসের সুযোগ রাখা। একই সঙ্গে তারা বোর্ডের ৩৩ দফা নির্দেশনা বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন।
পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।