ঢাকা   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

ভুয়া ভেন্ডর, ওভার ইনভয়েসিং: ইসলামের চোখে যা হারাম

ধর্ম

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৯:৫৭, ২২ জুন ২০২৫

ভুয়া ভেন্ডর, ওভার ইনভয়েসিং: ইসলামের চোখে যা হারাম

অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং প্রযুক্তি-নির্ভর জনশক্তি তৈরি করে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অনেক মানুষ সুষ্ঠু ও হালালভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন এই খাতের মাধ্যমে। তবে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা ভুয়া ভেন্ডর তৈরি, ওভার ইনভয়েসিং, খরচে অনিয়ম এবং বিভিন্ন কৌশলে অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে এই সুশৃঙ্খল পরিমণ্ডলকে কলঙ্কিত করছেন।

ভুয়া ভেন্ডর ও বিলিং: ভুয়া কম্পানি তৈরি করে মিথ্যা বিল জমা দেওয়া এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে কম্পানিকে ঠকানোর চেষ্টা ইসলাম সম্পূর্ণভাবে হারাম ঘোষণা করেছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, “তোমরা পরস্পরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ কোরো না...” (সুরা বাকারা: ১৮৮)।

ওভার ইনভয়েসিং: পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে বিল তৈরি করে অর্থ আত্মসাৎ করাও বড় পাপ। ইসলাম পরিমাপে কম দেওয়া এবং প্রতারণা করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে (সুরা মুতাফফিফিন: ১-৩)। রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয়” (তিরমিজি, হাদিস: ১৩১৫)।

ভুয়া খরচ, ক্রেডিট কার্ড অপব্যবহার ও আত্মসাত: ভ্রমণ, মিটিং কিংবা অফিস সাজসজ্জা বাবদ ভুয়া খরচ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা, করপোরেট কার্ড ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করা এবং ভুয়া কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ — সবই ইসলামের দৃষ্টিতে খিয়ানত। আল্লাহ বলেন, “হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করো না...” (সুরা আনফাল: ২৭)।

অডিটে দুর্নীতি: অডিট রিপোর্টে তথ্য লুকানো, সুবিধা গ্রহণ বা ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি তৈরি করে সম্পদ আত্মসাৎও গুরুতর অপরাধ। আল্লাহ বলেন, “তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না, যে তা করে তার অন্তর পাপী” (সুরা বাকারা: ২৮৩)।

সর্বোপরি, ব্যবসায়ের নামে এমন প্রতারণা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। এ ধরনের খিয়ানতের ফলাফল শুধু দুনিয়াতেই নয়, পরকালেও ভয়াবহ শাস্তি ডেকে আনবে।