বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশে ডেঙ্গু–চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না, বরং শেখ হাসিনার সময়কার মতো ‘বিদেশিদের সঙ্গে গোপনে চুক্তি’ করতেই ব্যস্ত।
রবিবার পটুয়াখালীতে এক অসচ্ছল পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে রিজভী জানান,
“বিদেশিদের সঙ্গে গোপন চুক্তি করার জন্য আপনাকে ক্ষমতায় বসানো হয়নি। মানুষ এখন বাঁচতে চায়, দু’বেলা খাবারের নিশ্চয়তা চায়, বাজারে নিয়ন্ত্রণ চায়। কিন্তু সরকারের নজর সেদিকে নেই।”
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম, কৃষকের করুণ অবস্থা, এবং নিম্ন আয়ের মানুষের দুঃসহ জীবনযাপন—সব কিছুর মধ্যেই সরকার উদাসীন।
“এখন অনেকেই আলু কিনলে চাল কিনতে পারে না—এ অবস্থায় একটি জনবান্ধব সরকারের পরিচয় দিতে হবে,” মন্তব্য করেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী সরকারের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন পথ তৈরি করার সুযোগ এসেছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার “প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করছে না।”
তিনি শেখ হাসিনার সময়কার আদানি–চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে দাবি করেন, সেই সময়ও অনেক গোপন চুক্তি হয়েছিল দেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে।
“এখন শোনা যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে! কার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে? শর্তগুলো কী? জনগণের জানতে হবে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর—নদীবন্দর বিদেশি কোম্পানির হাতে চলে গেলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জাগবেই।
তার মতে, প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা, গোপনে চুক্তি করা নয়।
এদিকে পটুয়াখালীতে অসচ্ছল এক দম্পতির দুরবস্থার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রিজভী সেখানে যান। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতারা।
চুক্তি–বিতর্ক, ডেঙ্গু পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক চাপ ও রাজনৈতিক সমালোচনার মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে—এমন মত প্রকাশ করেন রিজভী।
























